পদ্মাসেতুর সাড়ে ৩ কিলোমিটার দৃশ্যমান
বসানো হয়েছে পদ্মাসেতুর ২৩তম স্প্যান। শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে সেতুর ৩১ ও ৩২ নম্বর খুঁটির ওপর আজ ‘৬-এ’ নম্বর স্প্যানটি বসানো হয়েছে। ফলে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার।
আজ সকাল ৯টার দিকে ইয়ার্ড থেকে প্রায় তিন হাজার টন ওজনের স্প্যান নিয়ে ভাসমান জাহাজ রওয়ানা হয়। সেটি ৩১ নম্বর খুঁটির কাছে পৌঁছায় সকাল ১০টা ১২ মিনিটে। গত ৩১ জানুয়ারি স্প্যানটি বসানোর কথা থাকলেও অবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
এছাড়া, পদ্মাসেতুর আরও একটি পিলার বা খুঁটির নির্মাণকাজও সম্পন্ন হয়েছে। এ নিয়ে ৩৭টি পিলারের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলো।
সূত্র জানিয়েছে, আগামী এপ্রিলের মধ্যে বাকি পাঁচটি পিলারের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যেই সব ক’টি স্প্যান পিলারের ওপর বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
পদ্মাসেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, গত ৩১ জানুয়ারি পদ্মাসেতুর ২৩তম স্প্যান বসানোর কথা ছিল। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা সম্ভব হয়নি। প্রতি মাসে তিনটি করে স্প্যান বসানোর কথা থাকলেও জানুয়ারিতে দুটি স্প্যান বসানো হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে এ সংখ্যা বাড়বে।
স্প্যানগুলোর ওপর এক কিলোমিটারের বেশি রেল স্ল্যাব বসানো হয়েছে। আর স্প্যানের ওপর প্রায় ৪শ’ মিটার রোডওয়ে স্ল্যাব বা রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ পর্যন্ত মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৮৫ দশমিক ০৫ শতাংশ। সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৭৬ দশমিক ০৫ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, করোনাভাইরাসের কারণে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। কারণ এই প্রকল্পে প্রায় ১১শ’ চীনা নাগরিক কাজ করছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ২শ’ জন নববর্ষ উদযাপনে চীনে গিয়েছিলেন। যাদের অনেকেই করোনাভাইরাসের কারণে আটকা পড়েছেন।
“করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। চীনা কর্মকর্তাদের থাকা-খাওয়ার আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা তাদের সেবা দেন, তারা যেন সব সময় সেফটি ড্রেস (নিরাপদ পোশাক) পরে থাকেন, সেই বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। যদিও তারা সবাই সুস্থ আছেন,” বলেন ওই কর্মকর্তা।
Comments