কয়েকটি কেন্দ্রে উঁকি দিয়েছে এটি কি বড় বিষয়: তথ্যমন্ত্রী

Hasan Mahmud at AL press conference
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, “নির্বাচন অতীতের চেয়ে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কোথাও কেন্দ্র দখল হয়নি, কোথাও বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়নি”।

সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আজ একথা বলেন মন্ত্রী।

সিটি নির্বাচনে গোপন কক্ষে ভোট দেয়ার সময় ‘উঁকি দেয়া’ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “কয়েকটি কাগজে এসেছে ভোট কক্ষে উঁকি দিয়েছে। এত এত কেন্দ্র তার মধ্যে কয়েকটি কেন্দ্রে উঁকি দিয়েছে এটি কি বড় বিষয়? অতীতের দিকে তাকালে এটি বড় বিষয় না। অনেকে এটাকে বড় করে দেখাচ্ছে সেটি দুঃখজনক,” যোগ করেন তিনি।

তবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ মনে করেন বিএনপির ‘বিরোধী প্রচারণা’সহ তিনটি কারণে ভোট কম পড়েছে।

তিনি বলেন, “টানা তিনদিন ছুটি থাকায় অনেকে গ্রামে চলে গেছে, ইভিএম নিয়ে বিএনপি’র বিরোধী প্রচারণায় মানুষের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে বলে ৮-১০ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে আসেনি এবং বিএনপি বলেছে এ নির্বাচনকে তারা আন্দোলন হিসেবে নিয়েছে”।

“এসব কারণে ভোটে লোক কম এসেছে” উল্লেখ করে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের পরের দিন আজ সচিবালয়ে মন্ত্রী বলেন, “তারপরও মোটামুটি ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে”।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ দুই সিটিতেই ৩০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে। যার মধ্যে দক্ষিণে ২৯ শতাংশ এবং উত্তরে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনে কারচুপিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে রোববার রাজধানীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে সাংবাদিকেদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “হরতালের কোন চিহ্ন নেই। ভোটের মাধ্যমে জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। হরতালও জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে”।

ভোটের দিনে সাংবাদিকের উপর হামলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “পেশাগত কাজে বাধা কোনভাবেই উচিত না। আমি শুনেছি বিএনপি’র কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকেরা মেরেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে”।

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

5h ago