এভাবে খেলতে যাওয়া ‘আদর্শ নয়’, বললেন ডমিঙ্গো
প্রস্তুতি ম্যাচ দূরে থাক, ১২ ঘণ্টার দীর্ঘ ভ্রমণের ধকল সয়ে একটাই অনুশীলন সেশন। তারপরই নামতে হবে টেস্ট খেলতে। রাওয়ালপিন্ডির অচেনা কন্ডিশনে এভাবে টেস্ট খেলতে যাওয়াকে একেবারেই আদর্শ বলে মনে করছেন না বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে রওয়ানা হবে বাংলাদেশ দল। ভাড়া করা বিমানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে এলেও এবার দল যাচ্ছে নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে। কাতার এয়ারওয়েজের সেই ফ্লাইটে দোহার ট্রানজিট পেরিয়ে ইসলামাবাদ পৌঁছাতে লেগে যাবে ১২ ঘণ্টারও বেশি।
পরদিন সকালে সেখানে পৌঁছানোর পর নিতে হবে বিশ্রাম। এরপর বৃহস্পতিবার একমাত্র অনুশীলন সেশনের পরই শুক্রবার থেকে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট।
এর আগে বাংলাদেশ কখনোই খেলেনি রাওয়ালপিন্ডিতে। সেখানকার উইকেট, কন্ডিশন সম্পর্কে নেই কোনো স্পষ্ট ধারণা। এরকম পরিস্থিতিতে প্রস্তুতি ম্যাচ আর মানিয়ে নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় না থাকায় ডমিঙ্গোর কণ্ঠে ঝরেছে শঙ্কা আর হতাশা।
পাকিস্তানে যাওয়ার আগে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাখঢাক না করেই ঘাটতির কথা তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের কোচ, ‘এটা আদর্শ নয়। আপনি অবশ্যই টেস্টের ছয় থেকে আট দিন আগে যেতে চাইবেন। একটা প্রস্তুতি ম্যাচ, কয়েক দিনের প্রস্তুতি সেশন চাইবেন। এটা আমাদের জন্য ভালো প্রস্তুতি নয়, কিন্তু এই ব্যাপারে আমাদের কিছুই করার নেই। ছেলেরা এখানে অনুশীলন করছে, খেলছে। বুধবার সকালে আমরা সেখানে পৌঁছাব, বৃহস্পতিবার অনুশীলন করে শুক্রবার খেলতে নামব। এটা ভালো নয়।’
নিরাপত্তা শঙ্কা থাকায় বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরকে ভাগ করা হয়েছে ছোট ছোট তিন ভাগে। প্রথম ধাপে কড়া নিরাপত্তায় তিন টি-টোয়েন্টি খেলে আসার পর এবার দ্বিতীয় ধাপে আছে প্রথম টেস্ট। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হতে যাওয়া ওই টেস্টের পরই দল ফিরে আসবে। এরপর দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ। আর এপ্রিল মাসে আবার এক ওয়ানডে আর দ্বিতীয় টেস্টের জন্য পাকিস্তানের করাচিতে খেলতে যাবে বাংলাদেশ দল।
পাকিস্তানে বার বার যাওয়া-আসা, দমবন্ধ পরিবেশে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে খেলা তিন ধাপের এই সিরিজ শুরু হওয়ার আগে থেকেই আছে আলোচনায়।
Comments