৬ উইকেট নিয়ে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রস্তুতি সারলেন নাঈম
পাকিস্তানে গিয়ে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ নেই। অনুশীলন সেশনই আছে কেবল একটি। তাই রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দলে থাকা খেলোয়াড়রা দেশের মাটিতে নিজেদেরকে প্রস্তুত করে নিচ্ছেন। পাকিস্তানের বিমান ধরার আগে নাঈম হাসানের প্রস্তুতিটা হলো বেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম রাউন্ডের শেষ দিনে এই তরুণ অফ স্পিনার নিয়েছেন ৬ উইকেট।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মধ্যাঞ্চলকে ইনিংস ও ৯ রানে হারিয়েছে পূর্বাঞ্চল। মধ্যাঞ্চলকে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৩ রানে অলআউট করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন নাঈম। ৮৫ রানে ৬ উইকেট নেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৩ ম্যাচ খেলে এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো ৫ উইকেট পেলেন তিনি।
মধ্যাঞ্চলের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসটি খেলেন মোহাম্মদ মিঠুন। সেঞ্চুরি না পেলেও পাকিস্তান সফরের বাংলাদেশ স্কোয়াডে থাকা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ১৪৩ বলে করেন ৮৩ রান। নিজের ইনিংসকে সাজান ১০ চার আর ১ ছয়ে।
আগের দিনের ৩ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে খেলতে নামা মধ্যাঞ্চল দিনের শুরুতে হারায় দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান শহিদুল ইসলাম ও রকিবুল হাসানকে। এরপর তাইবুর রহমানকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন মিঠুন। পঞ্চম উইকেটে তারা যোগ করেন ১১৩ রান। তাদের ব্যাটিংয়ে এক পর্যায়ে ড্রয়ের আশা দেখছিল মধ্যাঞ্চল। কিন্তু মাত্র ৩৮ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ খুইয়ে ফেলে দলটি।
মিঠুন ও তাইবুর দুজনকেই ফেরান নাঈম। তারা বাদে লড়াই করতে পারেন কেবল শুভাগত হোম। তাকে সাজঘরে পাঠিয়ে মধ্যাঞ্চলকে গুটিয়ে দেন আগের ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া তাইজুল ইসলাম। মাঝে আহত অবসরে যাওয়া তাইবুর আবার ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত ১০৪ বলে করেন ৬২ রান। শুভাগতর ব্যাট থেকে আসে ৮৬ বলে ৩৫ রান।
আগের দিন অপরাজিত ৩৩৪ রান করে ইতিহাস গড়ায় ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন পূর্বাঞ্চলের ওপেনার তামিম ইকবাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ২১৩
পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ৫৫৫/২ (ইনিংস ঘোষণা)
মধ্যাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংস: (আগের দিন ১১৫/৩) ১০৯.২ ওভারে ৩৩৩ (সাইফ ৩৩, সৌম্য ৪, শান্ত ৫৪, রকিবুল ২৯, শহিদুল ১৭, মিঠুন ৮৩, তাইবুর ৬২, শুভাগত ৩৫, শুভ ৪, মোস্তাফিজ ২, মুকিদুল ২*; আবু জায়েদ ১/৬৭, হাসান ০/৪০, তাইজুল ২/৮২, রুবেল ১/৫৫, নাঈম ৬/৮৫)
ফল: পূর্বাঞ্চল ইনিংস ও ৯ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তামিম ইকবাল।
Comments