ফেসবুকের নতুন পদ্ধতিতে অনেকেই অসন্তুষ্ট হতে পারেন: জাকারবার্গ

ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও এনক্রিপশনের (তথ্য কোডে কনভার্ট করা) মতো নীতির পক্ষেই ফেসবুক থাকবে। তার মতে, এ কারণে কিছু নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।
Mark Zuckerberg
ফেসবুকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: রয়টার্স

ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও এনক্রিপশনের (তথ্য কোডে কনভার্ট করা) মতো নীতির পক্ষেই ফেসবুক থাকবে। তার মতে, এ কারণে কিছু নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।

৩১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত সিলিকন প্রযুক্তি শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

জাকারবার্গ বলেন, “এটি একটি নতুন পদ্ধতি। আমার মনে হয় এতে অনেকেই অসন্তুষ্ট হতে পারেন। যদিও পুরনো পদ্ধতির ওপরও মানুষ অসন্তুষ্ট ছিলেন। তাই নতুন কিছুর চেষ্টা করে দেখা যাক।”

তিনি আরও বলেন, “ফেসবুক দীর্ঘদিন ধরে যে লক্ষ্যে এগোচ্ছে, তার উদ্দেশ্য ‘অত্যন্ত আপত্তিকর’ কিছু না করা।”

যদিও এখন ফেসবুকের পদ্ধতি বদলাচ্ছে, যাকে ‘অতিরিক্ত সেন্সরশিপ’ হিসেবেই দেখছেন জাকারবার্গ।

তিনি স্বীকার করেছেন, সন্ত্রাসবাদ, শিশু নিপীড়ন ও সহিংসতা প্ররোচিত করে, এমন কন্টেন্টগুলো সরানো ফেসবুকেরই দায়িত্ব। বলেছেন, “তবে আমাদের ওপর চাপ বাড়ছে কন্টেন্ট আরও বেশি সেন্সর করার। যা আমাদেরকে অস্বস্তিতে ফেলছে।”

“ক্ষতিকর কন্টেন্টগুলো আমরা সরিয়ে ফেলবো। কিন্তু, কিছুক্ষেত্রে সেগুলো রাখাও দরকার,” যোগ করেন তিনি।

যখন টুইটার রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ফেসবুক তখন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাজনীতিবিদদের অসত্য তথ্য প্রচারের সুযোগ করে দিয়েছে, এমন অভিযোগে সমালোচিতও হচ্ছে জাকারবার্গের প্রতিষ্ঠান।

এর আগেও বেশ কয়েকবার সমালোচনার মুখে পড়েছিলো ফেসবুক। যার মধ্যে কিছুদিন আগে এনক্রিপশন নিয়ে সমালোচনা হয়। যদিও ফেসবুক বলছে, তারা এনক্রিপশনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে।

বিভিন্ন সময়েই ফেসবুক নিয়ে নানা নেতিবাচক কথা উঠেছে। তবে, বরাবরই নিজের অবস্থানে অটল ছিলেন জাকারবার্গ।

বিজ্ঞাপন থেকে ফেসবুকের যে আয় তা নিয়ে কিছুদিন আগে জাকারবার্গ জানিয়েছিলেন, পরবর্তী দশকের জন্য তার যে লক্ষ্য, সেটি মানুষের পছন্দ করার বিষয় নয় বরং বোঝার বিষয়।

সিলিকন প্রযুক্তি শীর্ষ সম্মেলনে তিনি আরও বলেছেন, “মানুষ কী ভাবছে, সেটি যদি আপনারা তোয়াক্কা না করেন, তাহলে আপনারা কী করছেন, তা মানুষের পক্ষে উপলব্ধি করা সম্ভব হবে না।”

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

7h ago