চোট কাটিয়ে ম্যাচ খেলার জন্য সম্পূর্ণ ফিট ইমরুল-মুশফিক

imrul and mushfiq
ছবি: সম্পাদিত

পাকিস্তানে টেস্ট খেলতে মঙ্গলবারই (৪ ফেব্রুয়ারি) উড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। সেখানে ইনজুরির কারণে নেই ইমরুল কায়েস। অথচ এদিনই ফিটনেস টেস্টে অনায়াসে উতরে গেলেন বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ফিটনেস টেস্টে উতরে গেলেন মুশফিকুর রহিমও। যদিও পাকিস্তানে তিনি যাচ্ছেন না নিরাপত্তা শঙ্কা আর পরিবারের সায় না পাওয়ায়। আশার খবর, দুই ব্যাটসম্যানই ম্যাচ খেলার জন্য সম্পূর্ণ ফিট।

বিসিবি কার্যালয়ে প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বললেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) ওদের (মুশফিক ও ইমরুল) দুজনের ফিটনেস টেস্ট হলো এবং সন্তোষজনকভাবে দুজনই ভালো করেছে। দুজনই খেলার জন্য ফিট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। সামনের খেলাগুলোতে অংশগ্রহণের জন্য তাদের কোনো বাধা নেই।’

সবশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন মুশফিক ও ইমরুল। কিন্তু ইনজুরির কারণে শেষটা ঠিকভাবে করতে পারেননি ওপেনার ইমরুল। আর আসর শেষ করে মুশফিক পড়েন ইনজুরিতে। যদিও জটিল কিছু নয়, গ্রেড ওয়ানের হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি। সমস্যা হচ্ছে, এ ধরনের ইনজুরির পুনরাবৃত্তি হয় খুব দ্রুত। তাই সম্পূর্ণ সুস্থতা খুব জরুরী। অন্যথায়, বড় ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে যেকোনো খেলোয়াড়কে।

তবে মুশফিকের চেয়ে ইমরুলের ইনজুরি কিছুটা গুরুতর ছিল। সঠিক পুনর্বাসনে প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত সুস্থ হয়েছেন তিনি। নির্দিষ্ট সময়ের আগে ফিট হয়েছেন মুশফিকও। তাদের ইনজুরি নিয়ে বিসিবি চিকিৎসক বললেন, ‘মুশফিক ও ইমরুল- ওরা যথাক্রমে হ্যামস্ট্রিং ও কাফ মাসলের সমস্যা নিয়ে কিছুদিন স্ট্রাগল করছিল। এর মধ্যে রিহ্যাবও চলছিল। মুশফিকের ইনজুরি গ্রেড ওয়ান হওয়ার কারণে আমরা আশা করছিলাম, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সে সুস্থতা ফিরে পাবে। কিন্তু ইমরুলের জন্য আরও বেশি সময়ের ধারণা ছিল।’

তারা ছাড়াও ইনজুরির তালিকায় আছেন পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ। চলতি মাসের শেষেই তিনি ফিটনেস ফিরে পাবেন বলে আশা করছেন দেবাশীষ, ‘খালেদের মেনিসকাসের ইনজুরির রিহ্যাব করে প্রায় পুরো ফিটনেস ফিরে পেয়েছিল, কিন্তু ঠিক তখন দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওর সাইড স্ট্রেইনের সমস্যা হয়েছে। এর ফলে ওর রিহ্যাব কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। আশা করছি, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ফিটনেস ফিরে পাবে।’

Comments

The Daily Star  | English

BNP at 47: Caught between prospects and perils

The BNP has survived Sheikh Hasina’s 15-year rule, during which over a million cases were filed against its leaders and activists for trying to launch street agitations demanding elections under a non-partisan government. Thousands were jailed, including Chairperson Khaleda Zia and other top leaders.

12h ago