স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচার, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাফরোজা পারভীন এই রায় দেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের পরিদর্শক দিদারুল আলম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া মো. শাহিন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট গ্রামের নাসির মিয়ার ছেলে।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, শাহিনের স্ত্রী ফেরদৌসা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে। ২০১১ সালের ২৩ এপ্রিল ফেরদৌসার গলায় শাড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করেন শাহিন। পরবর্তীতে, মৃতদেহ ঘরে ঝুলিয়ে রেখে, ফেরদৌসা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার করেন শাহিন।
এ ঘটনায় শাহিনসহ চার জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন ফেরদৌসার বাবা হাবিবুর রহমান।
মামলায় বলা হয়, গত ২০০৯ সালে শাহিন ও ফেরদৌসার বিয়ে হয়। বিয়ের বছর দেড়েক পর শাহিন বিদেশ যাওয়ার কথা বলে স্ত্রী ফেরদৌসাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায়, শাহিন তাকে শারীরিক নির্যাতনের পর গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মফিজুর রহমান বাবুল জানান, এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হলে শাহিনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। পরে মামলায় অভিযুক্ত বাকি তিন জনকে অব্যাহতি দিয়ে শাহিন মিয়ার নামে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন শেষে আদালত আজ শাহিন মিয়াকে ফাঁসির আদেশ দেন।
Comments