শহীদ মিনারের মূল বেদি সরিয়ে নেওয়ায় স্থানীয়দের ক্ষোভ
লালমনিরহাটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে ভাষা সৈনিক, লেখক, সুশীল সমাজ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, রহস্যজনক কারণে শহীদ মিনারের চৌহদ্দি পরিবর্তন করা হয়েছে। যে কারণে মূল বেদি সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গত ২০ জানুয়ারি লালমনিরহাট পৌরসভার অর্থায়নে শহীদ মিনার পুনর্নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৯৩৭ টাকা। মূল বেদি সমুন্নত রাখার কথা থাকলেও হঠাৎ পুনর্নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর মূল বেদি সরিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
ভাষা সৈনিক আব্দুল কাদের ভাসানী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “শহীদ মিনার শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলা-বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য। সৌন্দর্যবর্ধন বা পুনর্নির্মাণ যা-ই হোক, মূল বেদি সরিয়ে নেওয়া ঠিক হবে না।”
সাহিত্যিক মুহিন রায় বলেন, “আমাদের দাবি শহীদ মিনারের মূল বেদি সমুন্নত রেখে পুনর্নির্মাণ করা হোক। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি শুনছেন না, মানছেন না।”
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা শাখার সভাপতি মজিবর রহমান বলেন, “শহীদ মিনার পুনর্নির্মাণ আমাদের দাবি ছিল। মূল বেদি সরিয়ে নির্মাণ কাজ চলছে। আমরা দেখছি, পযর্বেক্ষণ করছি। পুনর্নির্মাণ কাজ শেষ হলে যদি শহীদ মিনারটি দৃষ্টি নন্দন না হয়, তাহলে আমরা আন্দোলনে যাব।”
লালমনিরহাট পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুম সাজ্জাদ বলেন, “শহীদ মিনারের চৌহদ্দিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সামান্য কিছু অংশ সরিয়ে পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে।
লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “শহীদ মিনারের ভূমির মালিকানা জেলা প্রশাসনের। তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং দিক-নির্দেশনা মেনেই শহীদ মিনারের পুনর্নির্মাণ কাজ চলছে।“
“এখন বোঝা যাচ্ছে না, নির্মাণ কাজ শেষ হলে দেখা যাবে শহীদ মিনারটি দৃষ্টিনন্দন হবে। সেভাবেই নকশা তৈরি করা হয়েছে”, বলেন তিনি।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, “পৌর কর্তৃপক্ষ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেই শহীদ মিনারের মূল বেদি সরিয়ে পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে।”
Comments