বার্সায় যে কারণে টিকে গেল আবিদালের চাকরি

বেফাঁস মন্তব্যে বার্সেলোনা অধিনায়ক লিওনেল মেসির বিরাগভাজনে পরিণত হয়েছিলেন স্পোর্টিং ডিরেক্টর এরিক আবিদাল। তাতে গুঞ্জন চড়া ছিল চাকরি চলে যেতে পারে তার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকে গেছেন তিনি। বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া ও প্রধান নির্বাহী অস্কার গ্রাউয়ের সঙ্গে দুই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার আলোচনা শেষে টিকে যায় তার চাকরি। তবে জানা গেছে সাবেক সতীর্থের সঙ্গে বাকযুদ্ধের পর বার্সা প্রেসিডেন্ট বার্তেমেউকে ঘটনা বড় হতে না দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন তিনি। অনেকটা সে কারণেই টিকে গেছে আবিদালের চাকরি।
ফাইল ছবি: এএফপি

বেফাঁস মন্তব্যে বার্সেলোনা অধিনায়ক লিওনেল মেসির বিরাগভাজনে পরিণত হয়েছিলেন স্পোর্টিং ডিরেক্টর এরিক আবিদাল। তাতে গুঞ্জন চড়া ছিল চাকরি চলে যেতে পারে তার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকে গেছেন তিনি। বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া ও প্রধান নির্বাহী অস্কার গ্রাউয়ের সঙ্গে দুই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার আলোচনা শেষে টিকে যায় তার চাকরি। তবে জানা গেছে সাবেক সতীর্থের সঙ্গে বাকযুদ্ধের পর বার্সা প্রেসিডেন্ট বার্তেমেউকে ঘটনা বড় হতে না দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন তিনি। অনেকটা সে কারণেই টিকে গেছে আবিদালের চাকরি।

কাগজে কলমে না হলেও ব্যাপারটা অনেকটা 'ওপেন সিক্রেট' যে বার্সেলোনায় সর্বেসর্বা মেসি। তার সিদ্ধান্তেই হয় দলটির মূল পরিকল্পনা। সেই মেসিই যখন কারো উপর ক্ষেপে যেন তাহলে তার টিকে থাকাটা অনেকটা কঠিন হয়ে যায়। তাছাড়া প্রেসিডেন্ট বার্তেমেউর খুব প্রিয়ভাজনও এ আর্জেন্টাইন তারকা। তবে স্পোর্টস ভিত্তিক গণমাধ্যম ইএসপিএনের সূত্র মতে ঘটনাটা বাড়তে দেননি মেসিই। ক্লাবের ভালো জন্যই নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন তিনি। তাই বার্তেমেউকে যে করেই হোক সে ঘটনার দ্রুত সমাপ্ত করার অনুরোধ করেন মেসি।

ইএসপিনের সূত্র মতে, আবিদালের মন্তব্যে ইনস্টাগ্রামে কড়া ভাষায় সমালোচনা করার পর তার সঙ্গে তিনবার ফোনে কথা হয়েছে মেসির। যার ব্যাপ্তিও ছিল লম্বা সময়। নিজেদের মধ্যে সমঝোতা তখনই হয়ে যায় বলে জানিয়েছে তারা। মূলত, এ ঘটনা বেশি চাউর হলে মূল লক্ষ্য (শিরোপা জয়) থেকে সরে আসবে দলটি। এমনিতেই কদিন আগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কাছে লিগের শীর্ষস্থান খুইয়েছে তারা। তাই আপাতত খেলায় মনোযোগ দিতেই ঘটনাটি বড় হতে দেননি মেসি।

এছাড়া আরও একটি সূত্র জানিয়েছে, আবিদাল নিজের চাকরি টিকিয়ে রাখার জন্য মেসিকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি নেইমারকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। আর ঘটনা যে সত্যি তার ইঙ্গিত দিয়েছেন নিজেই। আলোচনার পর গণমাধ্যমে বলেছেন, 'নেইমার অথবা যে কোনো প্রতিভাবান ফুটবলার সবসময় ক্লাবের জন্য ভালো। আমি এটাকে অসম্ভব হিসেবে দেখি না। আমরা এ নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করব। যদি নেইমারকে আমরা দলে আনতে পারি, তাহলে ভালো হবে।'

কিছুদিন আগে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্ডো দেপোর্তিভো ও স্পোর্তকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবিদাল অভিযোগ করে বলেছিলেন, ভালভার্দের অধীনে বেশ কিছু খেলোয়াড় সুখী ছিলেন না। এমনকি ঠিকঠাকভাবে পারফরম্যান্সও করেননি। পাশাপাশি যোগাযোগের ক্ষেত্রেও ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল। অথচ কোচ ও ড্রেসিং রুমের মধ্যে সম্পর্ক সবসময়ই ভালো ছিল।

খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে করা এমন সব অভিযোগকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি মেসি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তোপ দাগিয়েছেন আবিদালের উপর। আবিদাল কাকে কাকে ইঙ্গিত করেছেন, তাদের নাম জানতে চেয়েছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মেসি। অন্যথায়, আবিদালের মন্তব্যে দলের সব খেলোয়াড় কলঙ্কিত হবেন বলে মনে করছেন তিনি। পাশাপাশি নানা ধরনের অসত্য গুজব ছড়াবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus meets Malaysian PM Anwar Ibrahim

Anwar Ibrahim to consider issue of Bangladeshi workers

Malaysian Prime Minister Anwar Ibrahim today promised to consider the issue of 18,000 Bangladeshi workers who missed a deadline to enter Malaysia saying that they need workers, but not "modern slaves"

4h ago