কাশ্মীর সংকট নিয়ে ওআইসি বৈঠকে সৌদি আরবের অনাগ্রহ

চলমান কাশ্মীর সংকট নিয়ে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের বিষয়ে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে সৌদি আরব।
Kashmir
পাকিস্তানের লাহোরে ভারত-শাসিত কাশ্মীরিদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে বিক্ষোভ। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০। ছবি: রয়টার্স

চলমান কাশ্মীর সংকট নিয়ে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের বিষয়ে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে সৌদি আরব।

গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের দৈনিক ডন সংবাদটি প্রকাশ করেছে।

ইসলামাবাদে এ সম্মেলন হতে যাচ্ছে না বুঝতে পেরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কিছুটা হতাশ। সম্প্রতি মালয়েশিয়া সফরকালে কাশ্মীর সংকট নিয়ে ওআইসির নীরব ভূমিকা নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেছেন, “আমাদের আসলে কথা বলার ক্ষমতা কমে গেছে। আমাদের মধ্যে বিভাজন রয়েছে। এ কারণে, কাশ্মীর সংকট নিয়ে ওআইসির সদস্যরাষ্ট্রগুলো এক সঙ্গে বসতে পারছে না।”

গত বছর আগস্টে ভারত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর থেকেই পাকিস্তান ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কাশ্মীর সংকট নিয়ে মুসলিম বিশ্বের স্পষ্ট বক্তব্য উপস্থাপন করার জন্যই সম্মেলনটা প্রয়োজন।

ওআইসির এ ধরনের সম্মেলন আয়োজনে সৌদি আরব এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর সমর্থন আবশ্যক। কিন্তু, সৌদি সরকার কৌশলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনকে এড়িয়ে গেছে।

তারা বরং অন্য কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছিলো। যেমন, পার্লামেন্টারি ফোরামের বৈঠক কিংবা, মুসলিম দেশগুলোর পার্লামেন্টের স্পিকারদের বৈঠক কিংবা কাশ্মীর ও ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে যৌথ বৈঠক। কিন্তু, পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন নিয়ে পাকিস্তান বরাবর অনড়।

সৌদি আরবের চাপে মুসলিম দেশগুলোর কুয়ালালামপুর সম্মেলনে পাকিস্তান যোগ না দেওয়ায় সৌদি সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে কিছুটা নমনীয় আচরণ করে। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানকে ধন্যবাদ জানায় মালয়েশিয়া সম্মেলনে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য। কিন্তু, এ নমনীয়তা বেশি দিন টিকেনি। পাকিস্তান আশা করে সৌদি সরকার কাশ্মীর সংকট নিয়ে ইসলামী দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের প্রস্তাবে আগ্রহ দেখাবে।

কাশ্মীর ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ব্যাপারে সৌদির আগ্রহ আবার কমে গেছে। এ ব্যাপারে কোনো কথাই তারা আর বলেনি।

Comments