করোনাভাইরাস আতঙ্ক

চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গ্লাভস-মাস্কের দাম

coronavirus
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মৌলভীবাজারের চাতলাপুর স্থলবন্দরে স্ক্রিনিং ক্যাম্প। ছবি: স্টার

মৌলভীবাজারে বেড়েই চলেছে হ্যান্ড গ্লাভস ও সার্জিক্যাল মাস্কের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। সেই প্রভাব পড়েছে এই দুটি পণ্যে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে।

মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল এলাকায় একটি ওষুধের দোকানে কাজ করেন নাজমুল ইসলাম। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “গত কয়েক দিনে সার্জিক্যাল মাস্কের চাহিদা অনেক বেড়েছে। আগে প্রতিদিন দুই থেকে তিন বাক্স মাস্ক বিক্রি হতো। এখন প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ বাক্স বিক্রি হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “প্রতিটি বাক্সে ৫০ পিস মাস্ক থাকে। আগে এক বাক্স মাস্ক বিক্রি করতাম ৬০ টাকায়। এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় পাইকারি বাজার থেকে আমাদেরও আগের চেয়ে বেশি দামে মাস্ক কিনতে হচ্ছে।”

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সার্জিক্যাল মাস্ক সাধারণত চীন থেকে আমদানি করা হয়। চীনে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আমদানির হার কমে গেছে। চীনের রপ্তানিকারকরা এখন প্রতি বাক্স ১০০ টাকার কমে বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না।

সদর হাসপাতাল এলাকার অপর ওষুধ বিক্রেতা রজত দাস বলেছেন, “কিছু করার নেই, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে গেলে পণ্যের দাম বাড়বেই।”

এ প্রসঙ্গে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, “চাহিদার কারণে লজিস্টিকের দাম বেড়ে গেছে। আমরাও সতর্ক রয়েছি। এই উপজেলায় একটিমাত্র স্থলবন্দর রয়েছে। চাতলাপুর হয়ে বাংলাদেশে আসা সবাইকে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা হচ্ছে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি কারো শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রির বেশি কী না। কাশি বা শ্বাসকষ্ট, মাথা ব্যথা আছে কী না তা দেখা হচ্ছে।”

ইমিগ্রেশন এলাকায় একজন উপসহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং একজন সিএইচসিপি সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এই কার্যক্রম তদারকি করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

“করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা গেলেই ওই ব্যক্তিকে দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হবে,” বলেন ডা. নুরুল হক।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Bank signals market-based exchange rate regime

The central bank will allow the exchange rate of the dollar to be determined by market forces

56m ago