হাট ইজারা দ্বন্দ্বে যুবলীগ নেতার পায়ের নখ তুলে নিলো প্রতিপক্ষ

লালমনিরহাটে হাট ইজারার শিডিউল কেনাকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আলমগীর বাদশার পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির নখ প্লায়ার্স দিয়ে তুলে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহতও করা হয়।

লালমনিরহাটে হাট ইজারার শিডিউল কেনাকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আলমগীর বাদশার পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির নখ প্লায়ার্স দিয়ে তুলে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহতও করা হয়।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লামনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। শুক্রবার রাতেই এ ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন আহত যুবলীগ নেতা।

সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের মহেন্দ্রনগর হাটের ইজারার শিডিউল কেনাকে কেন্দ্র করে আলমগীর বাদশার সঙ্গে তার প্রতিপক্ষ লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আমিনুল খানের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে আমিনুলের লোকজন আলমগীরের ওপর চড়াও হয়ে তাকে মারপিট শুরু করে। তাকে জোরপূর্বক ধরে ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির নখ প্লায়ার্স দিয়ে তুলে দেয়। এসময় মহেন্দ্রনগরের হাটে উপস্থিত লোকজন ছুটে এসে আলমগীরকে উদ্ধার করেন।

মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন আমিনুল খান (৩৮) ও তার সহযোগী বিপুল খান (৪২), আনিস ইসলাম (৪৫), মোকছেদুল হক (৪০), ভুট্টু মিয়া (৩৮), সিরাজুল ইসলাম সেরা (৩২), রুবেল ইসলাম (২৫) ও মালেক মিয়া (৩৫)।

দ্য ডেইলি স্টারকে যুবলীগ নেতা আলমগীর বাদশা বলেন, “আমিনুল ও তার লোকজন আমাকে হাট ইজারা থেকে সরে আসতে নির্দেশ দিলে আমি তাদের কথা শুনতে রাজি হইনি। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বেদম মারপিট করে ও নখ তুলে দেয়।”

তিনি আরও বলেন, “স্থানীয় লোকজন ছুটে না আসলে তারা আমাকে মেরেই ফেলতো।”

তবে অভিযুক্ত প্রধান আসামি আমিনুল খান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি এ বিষয়ে কোন কিছুই জানেন না। নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মারপিটের ঘটনায় তাকে ও তার লোকজনকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন আলমগীর বাদশা।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি তদন্ত এরশাদুল আলম জানান, পুলিশ অভিযোগ পেয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Comments