মেহেদীর পাঁচ উইকেট, পিনাকের সেঞ্চুরি, অপেক্ষায় আফিফ

ফলোঅনে পড়ার পর দারুণ লড়াই করছে পূর্বাঞ্চল। পিনাক ঘোষের সেঞ্চুরি ও আফিফ হোসেনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে উল্টো লিড পেয়েছে দলটি। এর মধ্যেই লিড ছাড়িয়েছে ১৪৭ রানে। এখনও হাতে রয়েছে ৫ উইকেট। ফলে শেষ দিনের রোমাঞ্চকর পরিণতির অপেক্ষায় বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) দক্ষিণাঞ্চল বনাম পূর্বাঞ্চলের ম্যাচটি।
ফাইল ছবি

ফলোঅনে পড়েও দারুণ লড়াই করছে পূর্বাঞ্চল। পিনাক ঘোষের সেঞ্চুরি ও আফিফ হোসেনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে উল্টো লিড পেয়েছে দলটি। এর মধ্যেই লিড ছাড়িয়েছে ১৪৭ রানে। এখনও হাতে রয়েছে ৫ উইকেট। ফলে শেষ দিনের রোমাঞ্চকর পরিণতির অপেক্ষায় বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) দক্ষিণাঞ্চল বনাম পূর্বাঞ্চলের ম্যাচটি। 

কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের একাডেমী মাঠে অবশ্য প্রথম ইনিংসেই পিনাক ঘোষ ও মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাটে আগের দিন লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল পূর্বাঞ্চল। কিন্তু তৃতীয় দিনে ধসে পড়ে তাদের ব্যাটসম্যানরা। মূলত অফস্পিনার মেহেদী হাসানের ঘূর্ণিতে পড়ে ফলোঅনে পড়ে দলটি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ আশা জাগানিয়া ব্যাট করছে তাদের ব্যাটসম্যানরা।

দিনের শুরুতে প্রথম ইনিংসে আগের দিনের ৫ উইকেটে ২৭০ রান নিয়ে মাঠে নামে পূর্বাঞ্চল। ফলোঅন এড়াতে এদিন তাদের প্রয়োজন ছিল ৬৩ রানের। হাতে ছিল ৫ উইকেট। কিন্তু মেহেদীর ঘূর্ণির মায়াজালে পড়ে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৬ রান করতে পারে দলটি। ফলে ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের ফের ব্যাটিংয়ে পাঠায় দক্ষিণাঞ্চল।

আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান নাসির ও জাকির সেট হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। যথাক্রমে ২৮ ও ২৫ রান আসে এ দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে। পূর্বাঞ্চলের মেহেদী ১০২ রানের খরচায় তুলে নেন ৫ উইকেট। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরিও তুলেছিলেন এ তরুণ। এছাড়া আব্দুর রাজ্জাকের শিকার ৩টি।

ফলোঅনে পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে পূর্বাঞ্চল। পিনাক ও আশরাফুলের ওপেনিং জুটিতে আসে ৪০ রান। এ জুটি ভাঙার পর অবশ্য দ্রুত ইয়াসির আলিকে হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছিল দলটি। তবে তৃতীয় উইকেটে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটিতে সে চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন পিনাক। তবে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হয়েছেন ইমরুল। মাত্র ১৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

এরপর নাসির হোসেন আফিফ হোসেনের সঙ্গে আরও দুটি জুটি গড়েন পিনাক। চতুর্থ নাসিরের সঙ্গে ৩৯ ও পঞ্চম উইকেটে আফিফের সঙ্গে ৬৬ রানের জুটিতে দলকে ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কা থেকে মুক্ত করে লিড এনে দেন পিনাক। এরপর পিনাক আউট হলে জাকির হোসেনকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৯৬ রানের দারুণ এক জুটিতে দলকে বড় লিডের পথে নিয়ে যান আফিফ। দিনশেষে ৫ উইকেটে ৩২৩ রান সংগ্রহ করেছে দলটি।

এদিন দারুণ ব্যাট করছিলেন পিনাক। ১২১ রানের ইনিংস খেলার পর রানআউট হন তিনি। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে ১৩৯ বলে ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। সেঞ্চুরির অপেক্ষায় আছেন আফিফও। ১২৪ বলে ৯৩ রান করে অপরাজিত রয়েছেন এ ব্যাটসম্যান। ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ তরুণ। জাকির ব্যাট করছেন ২৮ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: (তৃতীয় দিন শেষে)

দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ৪৮২

পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ৯৫.২ ওভারে ৩০৬ (আগের দিন ২৭০/৫) (পিনাক ৮০, আশরাফুল ৭১, ইয়াসির ৪৪, ইমরুল ২৮, আফিফ ১৫, নাসির ২৮, জাকির ২৫, সাকলাইন ২, রেজাউর ০, হাসান ২, নোমান ২*; রেজা ১/৩২, রবিউল ০/৩৬, রাজ্জাক ৩/১০৭, মেহেদী ৫/১০২, রাব্বি ১/২২)।

পূর্বাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংস: ৭০ ওভারে ৩২৩/৫ (ফলোঅন) (পিনাক ১২১, আশরাফুল ২৮, ইয়াসির ৩, ইমরুল ১৬, নাসির ২২, আফিফ ৮২, জাকির ২২; রবিউল ০/১৩, মেহেদী ১/৬৭, রাজ্জাক ১/১০৬, রেজা ০/৬২, রাব্বি ১/২৭, আল-আমিন ০/৮, শামসুর ০/১১)।

Comments

The Daily Star  | English

Extreme weather events threatening food security

Since May last year, Bangladesh faced more than a dozen extreme weather events -- four cyclones, nine incidents of floods, and multiple spells of heavy rains, heatwaves, and cold waves -- and now they threaten food security..These events not only harmed individual farmers and food security

3h ago