আশা-নিরাশার দোলাচলে বাংলাদেশ
শিরোপা জয়ের জন্য লক্ষ্য ছোট হলেও একশো পেরিয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন হয়ে যায় ফিকে। তবে অধিনায়ক আকবর আলি আর ক্র্যাম্পের কারণে বেরিয়ে যাওয়া ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন আবার মাঠে ফিরে জুটি বাঁধায় আশা দেখতে শুরু করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। কিন্তু ৭৯ বলে ৪৭ করে পারভেজ যশস্বী জয়সওয়ালের শিকার হওয়ায় ফের আশা-নিরাশার দোলাচলে পড়েছে বাংলাদেশের যুবারা।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ১৭৮ রান তাড়া করতে নেমেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ৩২ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৪৩ রান। ৪ উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণই। ২ উইকেট শিকার করেছেন তার সতীর্থ পেসার সুশান্ত মিশ্র। বাকি উইকেটটি গেছে অনিয়মিত লেগ স্পিনার জয়সওয়ালের ঝুলিতে। আশার আলো হয়ে ক্রিজে আছেন অধিনায়ক আকবর ৪১ বলে ৩২ রানে। তার সঙ্গী মাত্রই নামা রকিবুল ইসলাম। শিরোপা জিততে ১৮ ওভারে বাংলাদেশের চাই ৩৫ রান। হাতে আছে ৩ উইকেট।
সপ্তম উইকেটে ৫৪ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন আকবর ও পারভেজ। সেখানে বাংলাদেশ দলনেতার ভূমিকা ছিল মুখ্য। তবে পারভেজ ফেরায় যোগ্য সঙ্গী হারিয়েছেন তিনি। ব্যাটিং লাইনআপের বাকিরা সবাই বোলার।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ রানে গুটিয়ে যায় ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম ১০ ওভারে ২ উইকেট নেন ৩১ রানে। নতুন বলে তার সঙ্গী ডানহাতি পেসার তানজিম হাসান সাকিব ৮.২ ওভারে ২ উইকেট পান ২৮ রান দিয়ে। স্পিনার হাসান মুরাদের পরিবর্তে ফাইনালের একাদশে জায়গা করে নেওয়া পেস অলরাউন্ডার অভিষেক দাস বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল। ৯ ওভারে ৩ উইকেট নিতে তার খরচা ৪০ রান।
ভারতের হয়ে লম্বা সময় টিকে থেকে একাই লড়াই করেন ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। ১২১ বল খেলে ৮৮ রান করেন এই বাঁহাতি। তার ইনিংসে ছিল ৮ চার ও ১ ছক্কা। দলটির মাত্র তিন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে পৌঁছান। মাত্র ২১ রানে তাদের শেষ ৬ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশের যুবারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ (জয়সওয়াল ৮৮, সাক্সেনা ২, ভার্মা ৩৮, গার্গ ৭, জুরেল ২২, বীর ০, আনকোলেকার ৩, বিষ্ণই ২, মিশ্র ৩, তিয়াগি ০, সিং ১*; শরিফুল ২/৩১, সাকিব ২/২৮, অভিষেক ৩/৪০, শামিম ০/৩৬, রকিবুল ১/২৯, হৃদয় ০/১২)।
Comments