যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

রংপুরে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী নিহত
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়ন থেকে সুরাইয়া আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত সুরাইয়া কালাদরাপের উত্তর শুল্লুকিয়া গ্রামের ওহিদুল হকের মেয়ে ও একই এলাকার নোমান সিদ্দিকী সোহেলের স্ত্রী।

গতকাল রবিবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওই গৃহবধূর বাবার পরিবারের দাবি, যৌতুকের জন্য ওই নারীর স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তাকে পেটানোর পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এখন তারা এটিকে আত্মহত্যা বলছে।

এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

নিহতের মামা রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রায় দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে ব্যবসায়ী নোমান সিদ্দিকী সোহেলের সঙ্গে সুরাইয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে সোহেল ব্যবসার জন্য সুরাইয়ার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে নগদ টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। টাকা না আনায় প্রায়ই বিভিন্ন অজুহাতে সুরাইয়াকে মারধর করতো সোহেল।

সবশেষ রোববার দুপুরে সুরাইয়াকে বাবার বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা আনতে বলে সোহেল। সেসময় সুরাইয়া টাকা আনবে না বললে সোহেল তাকে মারধর করে। এই ঘটনার পর সুরাইয়া ফোন করে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়।

পরে ওইদিন রাত ১০টার দিকে সুরাইয়াকে দ্বিতীয় দফায় মারধরের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে সুরাইয়া আত্মহত্যা করেছে বলে তার বাবার বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয়।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন বলেন, গৃহবধূ মারা যাওয়ার খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এই মৃত্যু নিয়ে নিহতের বাবার বাড়ি ও স্বামীর বাড়ির লোকজনের বক্তব্য আলাদা। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার আড় পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।

নিহত গৃহবধূর বাবার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশেল ওই কর্মকর্তা।

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Banning party activities: Govt amends anti-terror law

The interim government is set to bring the curtain down on the Awami League as a functioning political party.

4h ago