ম্যাচ শেষের ঘটনায় বাংলাদেশ-ভারতের পাঁচ ক্রিকেটারের সাজা

ছবি: আইসিসি

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষে বাংলাদেশের উদযাপন ঘিরে তৈরি হয়েছিল অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থতি। বাংলাদেশ ও ভারতের যুবারা প্রায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এই ঘটনাকে হালকাভাবে নেয়নি আইসিসি। আচরণ বিধির ‘লেভেল থ্রি’ ভঙ্গের দায়ে দুদলের মোট পাঁচ ক্রিকেটারকে সাজা দিয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে যুবাদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে আইসিসি। সাজা পাওয়া বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার হলেন- তৌহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন ও রকিবুল হাসান এবং ভারতের দুই ক্রিকেটার হলেন- আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণোই। বিভিন্ন মাত্রার সাসপেনশন পয়েন্ট তাদের নামের পাশে যোগ হয়েছে। ফলে আগামী বেশ কয়েকটি ম্যাচে তারা খেলতে পারবেন না।

তারা সবাই আইসিসির আচরণ বিধির ২.২১ অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করেছেন। এছাড়া বিষ্ণোই আলাদাভাবে ২.৫ অনুচ্ছেদও ভঙ্গ করেছেন। ফাইনালের দুই অন-ফিল্ড আম্পায়ার স্যাম নোগাজস্কি ও আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক, তৃতীয় আম্পায়ার রবীন্দ্র উইমালাসিরি ও চতুর্থ আম্পায়ার প্যাট্রিক বোন্নি জেলে ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। এরপর ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম ল্যাব্রুইয়ের প্রস্তাবিত সাজা মেনে নিয়েছে যুবারা। তাই আনুষ্ঠানিক কোনো শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

চরম উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনাল শেষে দুদলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় যে পরিস্থিতি তৈরি করেছিল, তার স্থান ক্রিকেটে নেই বলে মন্তব্য করেছেন জিওফ অ্যালারডাইস। যুবাদের বিরুদ্ধে আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনতে হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন আইসিসির ক্রিকেট বিষয়ক এই মহাব্যবস্থাপক।

শাস্তির বিস্তারিত:

হৃদয়- আচরণ বিধির ২.২১ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের কারণে তিনি ১০টি সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন যা ৬টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমতুল্য। তার নথিতে আগামী দুই বছর পর্যন্ত এটি থাকবে।

শামিম- আচরণ বিধির ২.২১ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের কারণে তিনি ৮টি সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন যা ৬টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমতুল্য। তার নথিতে আগামী দুই বছর পর্যন্ত এটি থাকবে।

রকিবুল- আচরণ বিধির ২.২১ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের কারণে তিনি ৪টি সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন যা ৫টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমতুল্য। তার নথিতে আগামী দুই বছর পর্যন্ত এটি থাকবে।

আকাশ- আচরণ বিধির ২.২১ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের কারণে তিনি ৮টি সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন যা ৬টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমতুল্য। তার নথিতে আগামী দুই বছর পর্যন্ত এটি থাকবে।

বিষ্ণোই- আচরণ বিধির ২.২১ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের কারণে তিনি ৫টি সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন যা ৫টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমতুল্য। তার নথিতে আগামী দুই বছর পর্যন্ত এটি থাকবে।

পাশাপাশি আচরণ বিধির ২.৫ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের কারণে তিনি আরও ২টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। অর্থাৎ তার নথিতে আগামী দুই বছর পর্যন্ত মোট ৭টি ডিমেরিট পয়েন্ট থাকবে।

প্রতিটি সাসপেনশন পয়েন্টের জন্য একজন ক্রিকেটার একটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি বা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বা ‘এ’ দলের আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলতে পারবেন না। আসন্ন আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে কার্যকর হবে এই সাজা। তা অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে হতে পারে কিংবা সিনিয়র ক্রিকেটেও হতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

What we expect from a people-centric health budget

We must strongly advocate for a people-centric health budget.

8h ago