পদ্মা সেতু: ২৪তম স্প্যানে দৃশ্যমান ৩৬০০ মিটার

পদ্মা সেতুর ২৪তম স্প্যান বসানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ‘৫-এফ’ নম্বর স্প্যানটি সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের ৩০ ও ৩১ নম্বর খুঁটির উপর বসানো কাজ করা হয়।
পদ্মা সেতুর ২৪তম স্প্যান বসানো হয়েছে। ছবি: স্টার

পদ্মা সেতুর ২৪তম স্প্যান বসানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে  ‘৫-এফ’ নম্বর স্প্যানটি সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের ৩০ ও ৩১ নম্বর খুঁটির উপর বসানো কাজ করা হয়।

২৩তম স্প্যান বসানোর ৯ দিনের মাথায় ২৪তম স্প্যানটিও বসানো হলো। এতে পদ্মা সেতু ৩৬০০ মিটার দৃশ্যমান হলো।

স্প্যানটি অস্থায়ীভাবে সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো ছিলো। আজ সকাল ৯টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারে অস্থায়ীভাবে রাখা স্প্যান নিয়ে রওনা করে সকাল পৌনে ১১টার দিকে নির্ধারিত পিলারের সামনে এসে পৌঁছায় ভাসমান ক্রেন। দুপুর দেড়টার দিকে স্প্যানটি বসানোর কাজ শেষ হয়।

সেতু বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, ৪২টি পিয়ারের (খুঁটি) মধ্যে ৩৭টির কাজ শেষ হয়েছে। বাকি থাকা ৫টির কাজও চলছে পুরোদমে। শিগগিরই পিয়ার-২৬ এর সাতটি পাইলে রিবার ইন্সটল ও কংক্রিটিং করা হবে। পিয়ার-৮, ১০ এবং ১১ এর কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী এপ্রিলের মধ্যে সব পিয়ারের কাজই শেষ হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে ২৪টি স্প্যান বসানো কাজ শেষ হয়েছে। পদ্মা সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে আর বাকী থাকল ১৭টি। আগামী জুলাইয়ের মধ্যেই এগুলো বসানোর কথা রয়েছে। চীন থেকে এপর্যন্ত ৩৭টি স্প্যান মাওয়ায় এসে পৌঁছেছে। বাকী ৪টি স্প্যান শিগগিরই চলে আসবে।

একই সঙ্গে চলছে সেতুর ওপর রোডওয়ে ও রেলওয়ে স্লাব বসানো। ইতোমধ্যে সেতুতে ৫৭৩টি রেলওয়ে স্লাব ও ২৫০টি রোডওয়ে স্লাব বসানো হয়েছে।

মূল সেতু নির্মাণ করছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। নদী শাসনের কাজে নিয়োগ করা হয়েছে চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশনকে। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেড।

এই সেতুর নির্মাণ কাজ তদারক করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বুয়েট ও কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস। এই সেতু নির্মাণের ফলে দেশের বাণিজ্য, উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পদ্মা সেতু তৈরি হলে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে এবং দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রায় ছয় কোটি মানুষের জীবনযাত্রায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। শুধু তাই নয়, রাজধানী ঢাকাসহ সমগ্র দেশের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। জিডিপি দেড় থেকে দুই শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago