আকবরের প্রতিশ্রুতি
অপার সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছিলেন অনেকেই। কিন্তু মূল উদ্দেশ্য পূরণ করতে পেরেছেন খুব কম ক্রিকেটারই। আবার অনেকেই ভেসে গেছেন 'স্টারডোম' নামক স্রোতের জলে। যুব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় তারকা এখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা। এতো অল্পতেই এতো কিছু পাওয়ায় হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কাটাও প্রবল। তবে আকবর আলীরা হারিয়ে যেতে চান না। কীভাবে টিকে থাকতে চান সে গল্পটা অধিনায়ক আকবর আলী শুনিয়ে গেলেন সংবাদ সম্মেলনে।
অবশ্য আকবররা যাতে হারিয়ে না যান তার জন্য বেশ বড়সড় পরিকল্পনাই করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাদের নিয়ে গঠন করা হচ্ছে অনূর্ধ্ব-২১ দল। যারা থাকছেন বিসিবির তত্ত্বাবধানে। সব ধরণের সুযোগ সুবিধাই দেওয়া হবে। চাহিদা মেটাতে দেওয়া হচ্ছে মাসিক সম্মানিও। তাও মোটা অঙ্কের। প্রতি খেলোয়াড়ই পাবেন মাসে লাখ টাকা। টানা দুই বছর পর্যন্ত। পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারলে ভবিষ্যতে তার মেয়াদও বাড়বে। এখন দায়িত্বটা খেলোয়াড়দের নিজেদের।
আরও পড়ুন- ধোনির সঙ্গে তুলনা বাড়াবাড়ি: আকবর
আর নিজেরা কীভাবে আগাবেন সবার প্রতিনিধি হয়ে তাই বলে গেলেন আকবর, 'ম্যানেজমেন্ট থেকে আমাদের কাছে তারা মেসেজ দিয়েছে, দেখ তোমরা পেশাদার ক্রিকেটের মাত্র শুরু তোমরা ভেলায় গা ভাসিয়ে দিও না। সবাই বলেছে, দেখ কীভাবে পরবর্তী লেভেলের জন্য প্রস্তুত হতে পার। কীভাবে আরও ভালো হতে পারো। এমন না যে যেটা আমরা পেয়েছি তাতেই আত্মতুষ্টিতে ভুগব। আমার মনে হয়, সবাই এটাকেই অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছে।'
আরও পড়ুন- ভারতীয় যুবাদের আচরণের কঠোর শাস্তি চান কপিল, আজহার
অনূর্ধ্ব-১৯ এর ডেরা পার হয়ে অনেকেই খুব সহসাই ঢুকেছেন জাতীয় দলে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে বয়সভিত্তিক দলের পার্থক্যটা বুঝে এবং ঘাটতি পূরণ করেই ঢুকতে চান আকবররা। অধিনায়কের ভাষায়, 'অনূর্ধ্ব-১৯ দল বা বয়সভিত্তিক দলের সঙ্গে সিনিয়র দলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে একটা পার্থক্য রয়েছে। বোর্ড আমাদের যে সহযোগিতা করবে তার সাহায্যে আমরা নিজেরা চেষ্টা করব সে ঘাটতিটা যতো দ্রুত সম্ভব পূরণ করতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সহজ না। অবশ্যই আমাদের মানসিক ও শারীরিকভাবে যতটা সম্ভব নিজেদের প্রস্তুত করার চেষ্টা করতে হবে।'
আরও পড়ুন- ভারতকে সেই আগ্রাসী উদযাপন ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন শরিফুলরা
Comments