ওয়ানডে ঢঙে মুশফিকের সেঞ্চুরি, নাঈমের ৮ উইকেট
আগের ম্যাচে হতাশ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। দুই ইনিংসে করেছিলেন যথাক্রমে ২ ও ৩৮ রান। ব্যর্থতার ধারা ভেঙে উত্তরাঞ্চলের অভিজ্ঞ তারকা তুলে নিয়েছেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। তার ওয়ানডে ঢঙের ব্যাটিংয়ের পাল্টা জবাব দিয়েছেন পূর্বাঞ্চলের অফ স্পিনার নাঈম হাসান। ঘূর্ণি জাদুতে ৮ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
ঘরোয়া চার দিনের প্রথম শ্রেণির আসর বিসিএলের তৃতীয় ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচের প্রথম দিনটা রাঙিয়েছেন মুশফিক ও নাঈম। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৭২ রানে অলআউট হয়েছে উত্তরাঞ্চল। শেষ বিকালে জবাব দিতে নেমে বিপাকে পড়েছে পূর্বাঞ্চল। ৩ রান তুলতে তারা হারিয়েছে ২ উইকেট।
১৫৭ বলে ১৪০ রান করা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকের ইনিংসে ছিল ১৬ চার ও ১ ছক্কা। নাঈম ৩৫.৪ ওভারে ৫ মেডেনসহ ৮ উইকেট পেয়েছেন ১০৭ রান খরচ করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একমাত্র টেস্টের আগে তাদের এই নৈপুণ্য নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য আশার খবর। মুশফিক পরিবারের সায় না পাওয়ায় দুই দফা পাকিস্তান সফরের কোনোটিতেই যাননি। আর নাঈম রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের স্কোয়াডে থাকলেও একাদশে ছিলেন না।
প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন মুশফিক। দলকে টেনেছেন একাই। পাঁচে ব্যাট করতে নেমেছিলেন তিনি। তখন ৪৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল উত্তরাঞ্চল। এরপর চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক নাঈম ইসলামের সঙ্গে ৫৬, ষষ্ঠ উইকেটে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের সঙ্গে ৭৪ ও অষ্টম উইকেটে সানজামুল ইসলামের সঙ্গে ৫৮ রানের তিনটি জুটি গড়েন মুশফিক।
নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে উত্তরাঞ্চলকে আড়াইশ পার করিয়ে দেন মুশফিক। উইকেটে ছিলেন ২৪২ মিনিট। ৭১ বলে ফিফটি পূরণ করার পর আরও চালিয়ে খেলতে শুরু করেন। হাসান মাহমুদকে ছয় মেরে তিন অঙ্কে পৌঁছান ১১৭ বলে। তার ইনিংসে ছক্কা ছিল ওই একটিই। দেড়শ যখন হাতছানি দিচ্ছে, তখন হাসানের বলেই বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবারের মতো ৫ বা তার চেয়ে বেশি উইকেট দখল করেছেন নাঈম। উত্তরাঞ্চলের প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে টানা ফেরান তিনি। এরপর আরিফুল হককে সাজঘরে পাঠান হাসান। তারপর আবার নাঈমের উইকেট উৎসব। টানা বিদায় করেন তিনজনকে। মুশফিক হাসানের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার পর সঞ্জিত সাহাকে আউট করে উত্তরাঞ্চলকে গুটিয়ে দেন নাঈম।
দিনশেষে ২৬৯ রানে পিছিয়ে থাকা পূর্বাঞ্চল হারিয়েছে দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ ও মোহাম্মদ আশরাফুলের উইকেট। পিনাক ৩ রান করলেও আশরাফুল রানের খাতা খুলতে পারেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
(প্রথম দিন শেষে)
উত্তরাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ৮২.৪ ওভারে ২৭২ (রনি ২৮, জুনায়েদ ৮, তানবির ৪, নাঈম ৩১, মুশফিক ১৪০, আরিফুল ৪, মাহিদুল ২৩, সাইফউদ্দিন ০, সানজামুল ২৯, সালাউদ্দিন ৩, সঞ্জিত ১*; হাসান ২/৫০, নাসির ০/৫, নাঈম ৮/১০৭, সাকলাইন ০/৫৪, রাহাতুল ০/২১, আফিফ ০/১৭, আশরাফুল ০/১৭)
পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ৪.১ ওভারে ৩/২ (পিনাক ৩, আশরাফুল ০, সাকলাইন ০*; সানজামুল ১/২, সাইফউদ্দিন ০/১, সঞ্জিত ১/০)।
Comments