কৃষককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা

Neelkanta Barman Lalmonirhat
নীলকান্ত বর্মণ। ছবি: স্টার

লালমনিরহাট সদর উপজেলার ফুলগাছ কাকেয়া গ্রামে নীলকান্ত বর্মণ (৬৩) নামে এক কৃষককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সদর থানার উপপরিদর্শক কাজল রায়ের শাস্তি দাবি করেছেন গ্রামবাসী।

নীলকান্ত বর্মণ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “প্রতিদিন কাজ শেষে সন্ধ্যায় আমি ভাটিবাড়ী বাজারে যাই। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেই, চা-পান খাই। সাইকেল বাজারের এক পাশে থাকে। গত পরশু বৃহস্পতিবারও গিয়েছিলাম। বাড়ি ফেরার সময় সদর থানার উপপরিদর্শক কাজল রায় আমাকে দাঁড় করিয়ে বলেন— আমার কাছে ইয়াবা আছে। এরপর আমার সাইকেলের হাতল থেকে কাগজে মোড়ানো অবস্থায় ৮ পিস ইয়াবা বের করে তিনি। আমি হতভম্ব হয়ে যাই।”

“সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে যায়। তারাও বলে এটা ষড়যন্ত্র। কিন্তু কাজল রায় কারো কোনো কথা শোনেননি। তিনি আমাকে থানায় নিয়ে যান। মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ অর্ধশতাধিক মানুষ থানায় গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজ আলম বিষয়টি তদন্ত করেন এবং আমাকে ছেড়ে দেন”— বলেন নীলকান্ত বর্মণ।

তিনি আরও বলেন, “জমি নিয়ে যাদের সঙ্গে আমার বিরোধ আছে, তারা পুলিশের সঙ্গে উঠা-বসা করেন। তারা মাদকের সঙ্গে জড়িত। আমি কোনোদিন ইয়াবা ট্যাবলেট দেখিনি, শুধু নাম শুনেছি।”

মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, “গ্রামের সবাই জানে নীলকান্ত একজন সহজ-সরল কৃষক। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা সঠিক তথ্য উদঘাটন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।”

তবে কাজল রায়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। কাজল রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কৃষকের কাছ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে, তাকে ফাঁসানোর অভিযোগ সঠিক নয়।”

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজ আলম বলেন, “সোর্সকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এসআই কাজলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রহস্য উদঘাটন হলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। পুলিশের হাতে কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে আমি বিশেষভাবে সচেতন।”

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

47m ago