‘মুভি মোঘল’ জাহাঙ্গীর খানের মৃত্যু
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সত্তর-আশির দশকের কালজয়ী অনেক ছবির প্রযোজক এ কে এম জাহাঙ্গীর খান আর নেই। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
তার মৃত্যুর খবরটি দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু।
এ কে এম জাহাঙ্গীর খান ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রে প্রথমে পরিবেশক হিসেবে যুক্ত হন, পরে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি প্রথম আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় ‘নয়নমনি’ নামের সিনেমা প্রযোজনা করেন। সিনেমাটি তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করায় একের পর এক প্রযোজনা করেন ‘তুফান’, ‘বিজয়িনী সোনাভান’, ‘রূপের রাণী চোরের রাজা’, ‘রাজকন্যা’, ‘বাদল’, ‘কুদরত’, ‘আলতাবানু’, ‘সওদাগর’, ‘রাজ সিংহাসন’, ‘তিন বাহাদুর’, ‘পদ্মাবতী’, ‘সম্রাট’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘ডাকু মর্জিনা’, ‘সোনাই বন্ধু’, ‘রঙিন রূপবান’, ‘রঙিন রাখালবন্ধু’, ‘শুভদা’, ‘রঙিন কাঞ্চন মালা’, ‘সাগর কন্যা’,‘শীর্ষমহল’, ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘ডিসকো ড্যান্সার’, ‘বাবার আদেশ’, ‘আমার মা’সহ অসংখ্য সিনেমা।
এসব সিনেমা প্রযোজনার আগে তিনি আলমগীর পিকচার্সের ব্যানারে পরিবেশন করেন ‘যাহা বলিব সত্য বলিব’, ‘এখানে আকাশ নীল’, ‘অপবাদ’, ‘সূর্যকন্যা’, ‘কি যে করি’, ‘আলিঙ্গন’, ‘সেতু’, ‘সীমানা পেরিয়ে’, ‘মা’, ‘নোলক’ ইত্যাদি।
এ কে এম জাহাঙ্গীর খানকে চিত্রালীর সম্পাদক আহমদ জামান চৌধুরী ‘মুভি মোঘল’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। সেই উপাধি আজও সর্ব মহলে স্বীকৃত।
Comments