‘কী চমৎকার দেখা গেলো’

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে কাজী হায়াৎ পরিচালিত এবং শাকিব খান অভিনীত ‘বীর’। দেশের ৮০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। সেই কারণে সিনেমা হলগুলোতে ছিলো উৎসবের আমেজ। মুক্তি পাওয়া ‘বীর’র গল্পটা চিত্রসমালোচনায় এড়িয়ে যাওয়া হলো মুক্তি পাওয়ার জন্য।
‘বীর’র একটি দৃশ্যে শাকিব খান। ছবি: সংগৃহীত

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে কাজী হায়াৎ পরিচালিত এবং শাকিব খান অভিনীত ‘বীর’। দেশের ৮০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। সেই কারণে সিনেমা হলগুলোতে ছিলো উৎসবের আমেজ। মুক্তি পাওয়া ‘বীর’র গল্পটা চিত্রসমালোচনায় এড়িয়ে যাওয়া হলো মুক্তি পাওয়ার জন্য।

শাকিব খানের অভিনয়ের জন্য ‘বীর’ দেখতে পারেন দর্শকরা। পুরো সিনেমা জুড়েই দুর্দান্ত দাপটে অভিনয় করেছেন। বলা যেতে পারে, ‘বীর’র জীবন-ঘনিষ্ঠ বাস্তবধর্মী সংলাপ আলোড়িত করবে মুহূর্তে মুহূর্তে। দর্শকরা নড়েচড়ে বসবেন কিছুক্ষণ। একটুখানি ভাবাবে, মন খারাপ করবে। হয়তো হাততালি দিয়ে উঠবে অজান্তেই। এখানেই কারিশমা এই নায়কের। নিজের দিকে সবটুকু মনোযোগ নিতে পারেন।

পুঁথিপাঠের সুরে ‘কী চমৎকার দেখা গেলো’ কবিগানে শাকিব খানের অভিনয় চোখে লেগে থাকবে অনেকদিন। অন্য গানগুলোর মধ্যে ইমরান ও কোনালের কণ্ঠে দ্বৈত গান ‘তুমি আমার জীবন’ ও ‘তোকে দেখলে একটি বার’ গান দুটি মন্দ লাগবে না।

কাজী হায়াৎ পরিচালনায় ৫০তম ছবি ‘বীর’। ছবিটির কিছু সংলাপের জন্য সাধুবাদ পেতেই পারেন তিনি। তবে গল্প নিয়ে অনেক কথা বলার জায়গা আছে। গল্পটায় চলমান রাজনীতির আলো-অন্ধকার অনেক দিক উঠে এসেছে। কিন্তু, গল্পটা ঠিকভাবে বলতে পারেননি। জলদি শেষ করতে চাওয়ার কারণে এমনটা ঘটেছে। আরও বেশকিছু অসঙ্গতি রয়েছে, যা ইচ্ছা করলে পরিচালক ঠিক করতে পারতেন। কেনো করলেন না সেটা বোঝা গেলো না।

ছবির নায়ক (বীর) শাকিব খান ভোটকেন্দ্রের সামনে মারামারি করছেন। সে সময়ে একবার পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলো। কিন্তু, মারামারির শেষদিকে আসলেন পুলিশ। তাহলে আগে পুলিশ কেনো দেখানো হলো বোঝা গেলো না। একজনের মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছে অথচ মায়ের ঠোঁটে লিপস্টিক লাগানো! এটা কীভাবে সম্ভব? কবর দেওয়ার দৃশ্যটা চটজলদি ও সাদামাটাভাবে  শেষ করতে চেয়েছেন। ছবির চরিত্রের ধর্ষক ডনকে যেভাবে মারা হলো সেটা খুব অগোছালোভাবে করা হয়েছে। সাংবাদিকের চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন চরিত্রটিতে তিনি সাংবাদিক হয়ে উঠতে পারেননি। ভয়ে-ভয়ে অভিনয় করেছেন।

বুবলি নায়িকা থেকে অভিনেত্রী হওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে কখনো কখনো তার উপস্থাপনা দৃষ্টিকটু লেগেছে। মিশা সওদাগর অনেকদিন পর ভালো চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেলেন। নানাশাহ ছোট চরিত্রে হলেও দারুণ অভিনয় করেছেন। বীরের বন্ধুর চরিত্রে নাদিমকে খুব খারাপ লাগেনি। তবে একটা কথা সত্য, শেষ পর্যন্ত শাকিব খানেরই জন্যই দর্শকরা ‘বীর’ দেখবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus’ economic gambit paying off

Two months ago, as Professor Muhammad Yunus waded into Bangladesh’s unprecedented political turmoil, he inherited economic chaos by default.

30m ago