মৎস্য কর্মকর্তাকে প্রাণনাশের হুমকি, উপজেলা চেয়ারম্যান বরখাস্ত

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল রবিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেওয়া হয়।
Manikganj upazila chairman.jpg
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল রবিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেওয়া হয়।

মানিকগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ফৌজিয়া খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “উপজেলা পরিষদ আইন, ২০১১ (সংশোধিত) এর ১৩(ঘ) ধারা অনুযায়ী উপজেলা চেয়ারম্যানকে তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার পরিবর্তে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ দায়িত্ব পালন করবেন। উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাকে আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।”

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি দেওয়ান সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন নজরুল ইসলাম। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে ১টার দিকে দাপ্তরিক কাজ করছিলেন তিনি। সে সময় উপজেলা চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনীর সদস্য পিন্টু, আমির হামজা, মো. আজম ও মো. শুভসহ অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আটজন তার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। তারা নজরুল ইসলামকে জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান তাকে যেতে বলেছেন।

কাজ শেষ করে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করবেন জানালে তারা নজরুল ইসলামকে টেনে হেঁচড়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কর্যালয়ের ভেতরে নিয়ে যান। সেখানে দেওয়ান সাইদুর রহমান তার কাছে উপজেলার পরিসংখ্যান বিভাগে গণনাকারী ও সুপারভাইজার পদে নিয়োগের বিষয়ে জানতে চান। নজরুল ইসলাম ওই কমিটির সদস্য নন, নিয়োগের বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই জানালে সাইদুর রহমান তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এরপর তাকে বদলি এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়।

ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসক এবং মৎস্য বিভাগের মহাপরিচালকের কাছে অভিযোগ করেছিলেন নজরুল ইসলাম।

তবে দেওয়ান সাইদুর রহমান নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট। আমি আইনি লড়াই করবো। ওই মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, সে বিষয়ে তাকে সংশোধন হতে বলেছি মাত্র।”

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago