কাশ্মীর ইস্যুতে বিমানবন্দর থেকে ব্রিটিশ এমপিকে ফেরত পাঠাল ভারত

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ নিয়ে সমালোচনা করায় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ডেবি আব্রাহামসকে ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বিবিসি জানায়, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা তার ই-ভিসাকে বাতিল ঘোষণা করেছেন।
ডেবি আব্রাহামস। রয়টার্স ফাইল ছবি

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ নিয়ে সমালোচনা করায় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ডেবি আব্রাহামসকে ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বিবিসি জানায়, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা তার ই-ভিসাকে বাতিল ঘোষণা করেছেন।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির সদস্য ও কাশ্মীর সংক্রান্ত সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি কমিটির সভাপতি আব্রাহামস ব্যক্তিগত সফরে ভারত যাচ্ছিলেন। সোমবার দিল্লিতে নামার পরে বিমানবন্দর কর্মকর্তারা তার ভিসা বাতিল করা হয়েছে বলে জানায়। ভিসা বাতিলের কোনো কারণের কথাও তাকে জানানো হয়নি।

গার্ডিয়ানের খবরে জানানো হয়, আব্রাহামসকে দুবাইগামী একটি ফ্লাইটে তুলে দিয়েছেন ভারতের কর্মকর্তারা।

এক বিবৃতিতে আব্রাহামস বলেন, “বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা আমার পাসপোর্ট নিয়ে উধাও হয়ে যান। ১০ মিনিট পর ফিরে এসে তিনি আমার সাথে রূঢ়ভাবে চিৎকার করেন। তার সঙ্গে যেতে বলেন।”

সেখান থেকে তাকে “ডিপোর্টি সেল” হিসেবে চিহ্নিত একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়।

“আমার সাথে অপরাধীর মতো আচরণ করা হয়েছে। আমি সেটা ভুলে যেতে রাজি আছি। আশা করি তারা আমাকে আমার পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে দেবেন।”

তিনি আরও বলেন, “বেশ কয়েকজন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে আমি ভিসা বাতিল হওয়ার কারণ জিগ্যেস করি। কীভাবে আমি ‘অন অ্যারাইভাল’ ভিসা পেতে পারি সে বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাই। কিন্তু, তারা কেউই আমাকে কিছু জানাননি। আমি এখন ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় আছি... যদি না ভারত সরকারের মতি পরিবর্তন হয়।”

ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন আব্রাহামস। গত বছর আগস্টে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিবের বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি পাঠান তিনি। চিঠিতে তিনি বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্তকে ‘জম্বু ও কাশ্মীরের মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে উল্লেখ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago