দেশের উইকেটে ‘এনজয় কম’ শরিফুলদের

Shoriful Islam
ছবি: বিসিবি

যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে নজরকাড়া পেসার ছিলেন শরিফুল ইসলাম। বাউন্স, স্যুয়িংয়ে বারবার ব্যাটসম্যানদের পরাস্ত করেছেন তিনি। দেশে ফিরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলতে নেমে শরিফুল দেখলেন অন্য ছবি। সারাদিন বল করে পেয়েছেন ১ উইকেট। দিনশেষে বলেছেন, উইকেটের কারণে বল করে মজা পাচ্ছেন না পেসাররা।

মঙ্গলবার বিকেএসপিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিসিবি একাদশের হয়ে ১৫ ওভার বল করে ৪৫ রানে ১ উইকেট নেন শরিফুল। বাকি দুই পেসার মুকিদুল ইসলাম ১১ ওভার ও সুমন খান ১৩ ওভার বল করে থেকেছেন উইকেট শূন্য।

পেসারদের সাবলীলভাবে খেলে অনিয়মিত স্পিনারদের বিপক্ষেই ভুগেছে জিম্বাবুয়ে। দিনশেষে তারা তুলেছে ৭ উইকেটে ২৯১ রান। যার পাঁচটাই নিয়েছেন স্পিনাররা, রান আউটে মিলেছে বাকি এক উইকেট।

দিনের খেলা শেষে গণমাধ্যমে কথা বলতে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বড় তফাৎ পেয়ে একটু মনমরা তরুণ শরিফুল, ‘প্রথম পার্থক্য হলো উইকেটে। ওখানে অনেক বাউন্স আছে। এখানে বাউন্স নেই। ওখানে গরম ছিল। এখানে অতো গরম না। তবে ওখানে গরম থাকলেও বোলিং করতে ভালো লাগত। বোঝা যেত না। ঘাম হতো না। এখানে ঠাণ্ডা থাকলেও ঘাম হচ্ছিল।’

‘এখানে যেরকম উইকেট আমরা আশা করেছিলাম সেরকম না। আমরা যে উইকেটে বোলিং করে এসেছি সেসব আর এই উইকেট ভিন্ন। এসব উইকেটে পেস বোলাররা আসলে কখনো মন মতো বোলিং করতে পারে না। কঠিন। এখানে অনেক বাড়তি এফোর্ট দিতে হয়।’

সারাদিন বল করে তেমন উইকেট মেলেনি, উইকেট নেওয়ার পরিস্থিতিও ছিল খুবই কম। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে এমনিতেই শ্রমটা বেশি, এরমধ্যে উইকেট মন মতো না হলে খেলাটা এখানে উপভোগ্য না এই বাঁহাতি পেসারের জন্য,  ‘কষ্ট তো হয়েছে (বল করতে)। আর টেস্ট খেলায় উপভোগ একটু কমই হয়। কারণ লম্বা সময়ের খেলা। অনেকদিন পর বল করলাম সরাসরি। প্র্যাকটিস না করে। একটু কষ্ট হয়েছে। ছন্দ পেলে থাকলে অতিরিক্ত এফোর্ট দিলে শরীরে কষ্ট লাগে না।‘

‘এইসব উইকেটে খেলতে গেলে এনজয় একটু কমই হয়। বাইরে যে ধরণের উইকেটে খেলা হয়, সেখানে প্রতি বলে বলে এনজয় হয়। উইকেটটা ওরকম হলে উপভোগ হয়, না হলে তো উপভোগ্য লাগে না।’

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Banning party activities: Govt amends anti-terror law

The interim government is set to bring the curtain down on the Awami League as a functioning political party.

7h ago