২৯ ফেব্রুয়ারি তালেবানের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ার হামলার পর প্রায় দেড় যুগ ধরে আফগানিস্তানে জঙ্গি গোষ্ঠী তালেবানের সঙ্গে লড়ে কার্যত কোনো ফল নিয়ে আসতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। তার সহযোগী পশ্চিমা মিত্ররা এ যুদ্ধে ক্ষান্ত দিয়ে অনেক আগেই পাততাড়ি গুটিয়েছে।
taliban-peace-deal.jpg
ছবি: সংগৃহীত

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ার হামলার পর প্রায় দেড় যুগ ধরে আফগানিস্তানে জঙ্গি গোষ্ঠী তালেবানের সঙ্গে লড়ে কার্যত কোনো ফল নিয়ে আসতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। তার সহযোগী পশ্চিমা মিত্ররা এ যুদ্ধে ক্ষান্ত দিয়ে অনেক আগেই পাততাড়ি গুটিয়েছে।

অবশেষে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি শর্তসাপেক্ষে চুক্তি করতে সম্মত হয়েছে তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্র। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তানে তালেবানের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনার প্রমাণ দিতে পারলেই হবে চুক্তি।

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও তালেবানের বরাত দিয়ে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রয়টার্স বলছে, স্থানীয় সময় আজ মধ্যরাত থেকে সাত দিনের প্রাথমিক এ শান্তি প্রক্রিয়ার যাত্রা শুরু হবে বলে তালেবান ও আফগানিস্তানের কর্মকর্তারা আগেই জানিয়েছিলেন। বিষয়টি আফগানিস্তান, আন্তর্জাতিক ও তালেবান প্রতিনিধিরা যৌথভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও আজ সকালে এক টুইটবার্তায় বলেছেন, “দীর্ঘ এক দশকের বিরোধের পর আফগানিস্তান জুড়ে সহিংসতা হ্রাসের বিষয়ে আমরা তালেবানের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরেছি। শান্তির দীর্ঘ পথে এ এক বিরাট পদক্ষেপ। আমি আফগানিস্তানের সব নাগরিককে সুযোগটি কাজে লাগানোর আহ্বান জানাচ্ছি।”

এক বিবৃতিতে পম্পেও জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইচ্ছায় আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের স্বার্থেই এই চুক্তি করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে দেশটিতে অবস্থানরত ১২ থেকে ১৩ হাজার সেনার সংখ্যা কমিয়ে ৮ হাজার ৬০০ জনে নিয়ে আসা হবে।

তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, “আফগানিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার দীর্ঘ আলোচনার পর উভয় পক্ষই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছে।”

উভয় পক্ষই বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Mozammel, Shyamal, Shahriar on 7-day remand in murder cases

Dhaka Additional Chief Metropolitan Magistrate Md Sanaullah passed the orders after they were produced before the court in the morning with a 10-day remand prayer for them

1h ago