২৪ ফেব্রুয়ারি দেশের সব বইয়ের দোকান বন্ধ থাকবে: বাপুস
সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হওয়ার পর এখন বাজারে কোনো নোট বই কিংবা গাইড বই নেই বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাপুস)।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতিসহ প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গে জড়িত ১২টি সংগঠন।
প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ২০১৯ এর কিছু সংশোধনীর দাবিতে তারা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বাপুস সভাপতি মো. আরিফ হোসেন তার বক্তব্যে নোট বই কিংবা গাইড বইয়ের সঙ্গে অনুশীলনমূলক বইয়ের পার্থক্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “একটাতে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বইগুলোতে দেওয়া প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থাকে আর অন্যটি পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তুর আলোকে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ, বাস্তব পরিস্থিতিযুক্ত উদ্দীপক প্রশ্ন, নমুনা প্রশ্ন-উত্তর, উন্নত লেখার পদ্ধতি প্রভৃতি থাকে।”
এ দুটিকে প্রস্তাবিত আইনে আলাদাভাবে সংজ্ঞায়নের দাবি জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের সহসভাপতি কামরুল হাসান শায়ক বলেন, “সারাবিশ্বেই অনুশীলনমূলক বইয়ের প্রচলন রয়েছে।
অনেক দেশ আছে যেখানে কোনো পাঠ্যপুস্তক নেই, শুধু অনুশীলনমূলক বই আছে।”
অনুশীলনমূলক বইয়ের ওপর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অনেকাংশেই নির্ভরশীল, এগুলো নিষিদ্ধ করলে তারা ভয়াবহ সংকটে পড়বে বলেও জানান তিনি।
প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন সংশোধনীর দাবিতে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে সব বইয়ের দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। এ ছাড়া সেদিন মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে সংগঠনগুলো।
সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ ওয়েব প্রিন্টার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পুস্তক বাঁধাই মালিক সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Comments