অভ্যাসটা ঘরোয়া লিগ থেকেই করে নিয়েছিলেন নাঈম
৩৬ ওভার বল করে নাঈম হাসান ৬৮ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট, এরমধ্যে ৩২ ওভারই করেছেন এক টানা। ব্যাটসম্যানদের একের পর এক ডট বল খেলিয়েছেন, চাপে ফেলেছেন। সেই চাপ থেকে এসেছে উইকেট। দিনশেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ খানিকটা এগিয়ে আছে নাঈমের কারণেই। সেরা ছন্দে থাকা এই স্পিনার জানালেন, টানা এমন বল করার অভ্যাসটা তার ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর থেকে করে নেওয়া।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইশ গজে টেস্টের প্রথম দিনে স্পিনারদের জন্য রসদ ছিল কম। উইকেট বরং কিছুটা সহায়তা দিচ্ছিল ব্যাটসম্যানদের। বল করতে এসে এমন উইকেট থেকেই উইকেট নেওয়ার পরিস্থিতি বের করেন এই অফ স্পিনার।
ভাল উইকেটেও দিনশেষে ২২৮ রান তুলতে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে জিম্বাবুয়ে। তারা নিজেরাই বলছে, বাংলাদেশ এগিয়ে আছে খানিকটা। দিনের দ্বিতীয় সেশন থেকে উইকেট নেওয়া শুরু নাঈমের। দ্বিতীয় উইকেটে লম্বা জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন প্রিন্স মাসবাউরে আর ক্রেইগ আরভিন।
তার বলে দুবার ক্যাচ পড়ে মাসবাউরের। পরে ৬৪ করা মাসবাউরেকে আউট করে ১১১ রানের জুটি ভেঙে ব্রেক থ্রো আনেন তিনি। এই উইকেট পেয়ে তেতে উঠে ব্র্যান্ডন টেইলর, সিকান্দার রাজাকেও ফেরান নাঈম। দিনের শেষ ভাগে সেঞ্চুরি করা আরভিনকে ফিরিয়ে দিনটা বাংলাদেশের করে দেন তিনি।
ম্যারাথন স্পেলে বল করে যাওয়া এবং সাফল্য আনা। নাঈম জানালেন ধৈর্য ধরে টানা বল করার অভ্যাস করেছেন ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে, ‘অভ্যাসটা আমার জাতীয় লিগ থেকেই আছে। ওখানে আমি লম্বা স্পেল বল করেছি। লম্বা স্পেলে ধৈর্য ধরে এক জায়গায় বল করলে সাফল্য পাওয়া যায়।’
সম্প্রতি প্রথম শ্রেণীর ফ্রেঞ্চাইজি আসর বিসিএলে দুই ম্যাচেই নাঈম নেন ২১ উইকেট। নিজের উচ্চতা কাজে লাগিয়ে বাড়তি বাউন্স আর টার্ন আদায় করে ব্যাটসম্যানদের ভুগানোর এই ধারাবাহিকতা রাখলেন জাতীয় দলেও, ‘ওখানে ২১ উইকেট পেয়েছি। ওখানে অনেক বল করেছি। ওই আত্মবিশ্বাস কাজে লেগেছে। কারণ অনুশীলন করার চেয়ে ম্যাচের মধ্যে থাকলে সেটা ভালো হয়।’
Comments