সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত বাংলাদেশিকে ১০ হাজার ডলার সহায়তা
সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত বাংলাদেশের পাঁচ নাগরিকের মধ্যে প্রথমে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারকে ১০ হাজার ডলার সহায়তা প্রদান করেছে বিদেশি শ্রমিকদের সহযোগিতাকারী প্রতিষ্ঠান মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স সেন্টার (এমডব্লিউসি)।
দ্য স্ট্রেইট টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, টেলিগ্রাফিক ব্যাংকিং লেনদেনের মাধ্যমে ৩৯ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি শ্রমিকের পরিবারকে এই অর্থ দেওয়া হয়েছে।
ওই শ্রমিকের নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান ই-কে ইনোভেশনস, লিও ডরমিটরি অপারেটর মিনি-এনভায়রনমেন্ট সার্ভিসেস ও এমডব্লিউসি যৌথভাবে এই অর্থের যোগান দিয়েছে।
আজ এক ফেসবুক পোস্টে এমডব্লিউসি জানিয়েছে, তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী হওয়ায়, বিষয়টি তার পরিবারের জন্য অত্যন্ত পীড়াদায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিয়োগদাতার মাধ্যমে পরিবারকে তার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ তথ্য জানানো হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছে এমডব্লিউসি।
ওই শ্রমিক গত ১৬ দিন ধরে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজের (এনসিআইডি) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আগে তার ফুসফুসে জটিল প্রদাহ ছিল।
এ ছাড়াও এনসিআইডিতে চিকিৎসাধীন অপর চার বাংলাদেশির অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তাদের চার জনকেই এনসিআইডির আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইনের ১৪ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের সর্বশেষ পরিস্থিতি প্রতিদিন অনলাইনে জানিয়ে আসছে সিঙ্গাপুরের সরকার। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ জন। তাদের মধ্যে আজ দুজনসহ মোট ৫১ জন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন। হাসপাতালে থাকা ৩৮ জনের মধ্যে পাঁচ জনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সবার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল বা উন্নতির দিকে রয়েছে।
চীনের পর দক্ষিণ কোরিয়াতেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া দেশটির দুটি শহরে ভ্রমণ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের সর্বোচ্চ সতর্কতায় থাকতে বলা হয়েছে।
Comments