ছাত্রত্ব ফিরে পেতে চান ভাষাসৈনিক আব্দুল মালেক

ভাষাসৈনিক খোন্দকার আব্দুল মালেক শহীদুল্লাহর বয়স এখন ৮৬ বছর। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি জামালপুরে দেওয়ানগঞ্জ কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে যুক্ত থাকায় সে সময় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে ফেরারি আসামি হিসেবে তাকে বহিষ্কার করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
Abdul Malek
ভাষাসৈনিক খোন্দকার আব্দুল মালেক শহীদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

ভাষাসৈনিক খোন্দকার আব্দুল মালেক শহীদুল্লাহর বয়স এখন ৮৬ বছর। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি জামালপুরে দেওয়ানগঞ্জ কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে যুক্ত থাকায় সে সময় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে ফেরারি আসামি হিসেবে তাকে বহিষ্কার করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ছাত্রত্ব বাতিল হওয়ার পর আর কোনো প্রতিষ্ঠনে পড়ার সুযোগ মেলেনি আব্দুল মালেকের। বর্তমানে ছাত্রত্ব ফিরে পেতে চান তিনি।

ছাত্রত্ব বাতিলের পর আন্দোলন-সংগ্রামকেই জীবনের ব্রত করে নিয়েছিলেন আব্দুল মালেক। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে মুক্তাগাছা আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। স্বাধীনতার পর মুক্তাগাছা পৌরসভার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

আব্দুল মালেক এখন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় তার বাড়িতে বসবাস করছেন। তার ডান হাত-পা অবশ হয়ে গেছে। তার ছেলে খোন্দকার মনজুর মালেক সুদীপ্ত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, "আমার বাবা যে বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন, বর্তমানে সেটি একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। ছাত্রত্ব হারানোর পর তিনি আর কোথাও পড়াশোনার সুযোগ পাননি। তার শেষ ইচ্ছা, বিদ্যালয়ের সেই বহিষ্কারাদেশ যেন প্রত্যাহার করা হয়।"

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন আব্দুল মালেক। সুদীপ্ত জানান, আর্থিক অনটনের কারণে বাবার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারছেন না।

"চিকিৎসার খরচ চলছে বাবার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা থেকে। গত ডিসেম্বরে স্ট্রোক করার পর তাকে আমরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। এর চেয়ে ভালো হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ বহন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। সরকার তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করলে আমরা খুশি হবো"—বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago