শিশুপুত্রের জন্য ‘ডাইনোসরের ভঙ্গিতে’ উদযাপন মুশফিকের

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আইনসলে এনডিলোভুর বল পয়েন্ট দিয়ে কাট করেই দুহাত উঁচিয়ে দৌড় মুশফিকুর রহিমের। আরও একটা ডাবল সেঞ্চুরি। উদযাপনটা নিশ্চিতভাবে হওয়া চাই বিশেষ। হলোও তা। দুহাত মেলে গর্জন করলেন। তারপর হাতের ইশারায় বোঝালেন নিজের পুত্র সন্তানের কথা। সেঞ্চুরি পেরিয়েও তার উদযাপন ছিল দেখার মতো। শূন্যে ব্যাট তাক করে আগ্রাসী এক ভঙ্গিমায় দেখা গেল তাকে। দিন শেষে এই দুই উদযাপনের পেছনের গল্প বললেন মুশফিক।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে মুশফিকের ব্যাটে ছিল রানের ফোয়ারা। আগের দিনের অপরাজিত ৩২ নিয়ে নেমে মুশফিক আপরাজিত থাকেন ২০৩ রানে। ইনিংস ঘোষণা এলো বলেই থামতে হলো আসলে, না হলে তিনি থামতে পারেন, এমনটা মনেই হচ্ছিল না।

ক্যারিয়ারে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি, তামিম ইকবালকে ছাপিয়ে দেশের সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে যাওয়া। উদযাপনের অনেক কারণ জমা মুশফিকুর রহিমের। দিন শেষে তিনি জানালেন, ডাবল সেঞ্চুরির উদযাপন এসেছে নিজের দুই বছর পেরুনো সন্তান মায়ানের কথা ভেবে, ‘না, স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা করছিলাম, এত ভেবে এমন করিনি (উদযাপন)। ডাবল সেঞ্চুরির পর যে উদযাপন করেছি, তা আসলে আমার ছেলের জন্য। আমার ছেলে ডাইনোসরের খুব বড় ভক্ত। ও ডাইনোসর দেখলে যেমন উদযাপন করে, তেমন করতে চেয়েছি।’

ডাবল সেঞ্চুরির উদযাপনের একদম আলাদা রকমের উদযাপন সেঞ্চুরি পেরিয়ে করেছিলেন মুশফিক। ৯৯ থেকে তিন অঙ্কে পৌঁছাতেও বাউন্ডারি মেরেছিলেন তিনি। তারপর শূন্য ব্যাট তাক করে পুল করার ভঙ্গি করেন ৩২ বছর বয়সী তারকা। 

নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তান সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় মুশফিককে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রাখা হবে না বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। এই উদযাপনে অবশ্য এসব জবাব দেওয়ার কোনো ভাবনা কাজ করেনি বলে জানালেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান, ‘না, কারো উদ্দেশে কিছু করিনি। এটা যদি আপনারা বানিয়ে নেন, তাহলে তো কিছু করার নেই। (হাসি) আমি আসলে আমার ক্যারিয়ারে যত কিছু করেছি, উদযাপনে প্রতিশোধ বা প্রতিবাদ এরকম কিছু কখনো করিনি। আমি মনে করেছি, নিজের খেলাটা খেলে যাব, যতদিন খেলি। যেটা বললাম, পূর্ব পরিকল্পিত কিছুই ছিল না কিন্তু এটা ছিল যে ডাবল সেঞ্চুরি যদি করতে পারি, তাহলে আমার ছেলের জন্য উদযাপন করব। এটা একটা অনুপ্রেরণা ছিল।’ 

মুশফিকের এমন ইনিংস আর মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৫৬০ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। দিন শেষে ৯ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ইনিংস হারের মুখে আছে জিম্বাবুয়ে।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

7h ago