করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রতিটি দেশকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে হবে: ডব্লিউএইচও

WHO-2.jpg
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় ঠিক করতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস। ছবি: টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুসের টুইটার থেকে নেওয়া

চীনে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে গতকাল মারা গেছেন ৭১ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৬৩ জনে।

দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭ হাজার ৬৫৮ জন এবং তাদের মধ্যে ২৭ হাজার ৩২৩ জন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন।

হুবেই প্রদেশে নতুন করে ৪৯৯ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪৬৪ জনই উহানের বাসিন্দা। হুবেইয়ের বাইরে এ সংখ্যা মাত্র নয় জন। আজ এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে চীনের কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ব পরিস্থিতি

চীনসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৬৯৮ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯০ জনে পৌঁছেছে এবং মারা গেছেন আট জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২২০ জন এবং মারা গেছেন সাত জন। ইরানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৬০ জন শনাক্ত হয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত সেদেশে ১২ জন মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইরাক, আফগানিস্তান, কুয়েত, ওমান এবং বাহরাইন গতকাল একজন করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছে। সম্প্রতি এদের সবাই ইরান ভ্রমণ করেছিলেন।

এ নিয়ে বিশ্বের প্রায় ৩০টিরও বেশি দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে সেসব দেশে ২০ জনেরও বেশি মারা গেছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কী বলছে?

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে ‘বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা’ হিসেবে ঘোষণা করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এবার তারা বিশ্বের প্রতিটি দেশকে আলাদাভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

সংস্থাটির সর্বশেষ সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়ার এখনই সময়।

Comments