সরকারের দ্বিতীয় পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা অনুমোদন

NEC.jpg
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ছবি: রেজাউল করিম বায়রন/স্টার

দ্বিতীয় পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনায় গণতন্ত্র, সুষ্ঠু অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও তথ্য অধিকারকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। এসব নিয়ে দেশের বিভিন্ন জনের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২০২১-২০৪১ পর্যন্ত মেয়াদকালের এ পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়েছে।

এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন একটি পুরোপুরি বহুত্ববাদী গণতন্ত্র। এমন একটি বহুত্ববাদী গণতন্ত্র যেখানে সব নীতি ও কৌশল প্রতিফলিত হবে মানবাধিকার ও তথ্য অধিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

সভায় অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, চরম দারিদ্র্য ও মাঝারি-দারিদ্র জনগোষ্ঠীর হার ২০৩১ সালের মধ্যে যথাক্রমে ২ দশমিক ৫ ও ৭ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে যথাক্রমে শূন্য দশমিক ৬৮ ও ৩ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে এই হার যথাক্রমে ৯ দশমিক ৩৮ ও ১৮ দশমিক ৮২ শতাংশ।

দরিদ্রতা দূর করার কৌশল বিষয়ে বলা হয়েছে, আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশকে যেসব নীতি নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে, তার মধ্যে সম্ভবত সবচাইতে কঠিন হবে— দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে পরিণত করার জন্য পর্যাপ্ত বিনিয়োগ। এ জন্য প্রয়োজন হবে অতিরিক্ত তহবিল, যা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংশ্লিষ্ট কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করাসহ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও মানসম্মত শিক্ষার মতো সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী নিশ্চিত করবে।

এতে আরও বলা হয়, কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে ভর্তির হার ২০৩০ সালে ৩০ শতাংশ এবং ২০৪১ সালে ৪১ শতাংশ অর্জন সম্ভব হবে।

Comments

The Daily Star  | English

DU JCD leader stabbed to death on campus

Shahriar Alam Shammo, 25, was the literature and publication secretary of the Sir AF Rahman Hall unit of Jatiyatabadi Chhatra Dal

3h ago