এখন সবাইকে ‘ঝাড়ি মারেন’ অধিনায়ক মুমিনুল

মুখচোরা, লাজুক হিসেবেই পরিচিতি ছিল তার। মুমিনুল হক কথাও বলতেন মেপে মেপে। পরিস্থিতির দাবিতে হুট করেই তার ঘাড়েই এসে পড়ে টেস্ট অধিনায়কত্বের ভার।
Mominul Haque
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মুখচোরা, লাজুক হিসেবেই পরিচিতি ছিল তার। মুমিনুল হক কথাও বলতেন মেপে মেপে। পরিস্থিতির দাবিতে হুট করেই তার ঘাড়েই এসে পড়ে টেস্ট অধিনায়কত্বের ভার। ভারত সফরে দুই টেস্ট আর পাকিস্তানে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে অধিনায়ক মুমিনুলকে রীতিমতো খাবি খেতে দেখা গেছে। তবে জিম্বাবুয়েকে হারানোর পর বললেন, মাঠে মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবালদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের সামলাতে আগের চেয়ে ব্যক্তিত্ববান হয়ে উঠেছেন। দলের স্বার্থে কঠোর হতে পিছপা হন না, মজা করে বললেন এখন তিনি ‘ঝাড়িও’ মারেন।

মুমিনুলের নেতৃত্বে এই নিয়ে চার টেস্ট খেলল বাংলাদেশ। প্রথম তিন টেস্টেই দল দেখেছে ইনিংস হার। মুমিনুলের ব্যাটিং, দলের পারফরম্যান্স আর অধিনায়কত্ব ছিল বিবর্ণ। প্রশ্ন উঠছিল তিনি কি সামলাতে পারবেন এই গুরুত্বপূর্ণ ভার?

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজে সেঞ্চুরি পেয়েছেন, দলের সবাই রান খরা কাটিয়েছে। এসেছে ইনিংস ব্যবধানে জয়। মাঠে সপ্রতিভ মুমিনুল নাকি আয়ত্ত করেছেন অথরিটি নেওয়া। মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্ট জেতার পর ফুরফুরে মেজাজে নিজের অধিনায়কত্ব নিয়ে উপলব্ধি জানান তিনি,  'আমার অধিনায়কত্ব শুরু হয়েছিল বিসিএল, জাতিয় লিগ দিয়ে। ওই জায়গায় (অধিনায়কত্বে) প্রথম প্রথম এরকমই (লাজুক) ছিলাম পরে দেখলাম যে, নাহ জিনিসটা বদলাতে হবে। যারা মাঠে থাকে তারা জানে। একটু আগ্রাসী, নিষ্ঠুর থাকতে হয়। ঠিক নিষ্ঠুর না আগ্রাসী থাকতে হয় আরকি। এখন সবাইকেই ঝাড়ি মারি (হাসি।)‘

অধিনায়কত্বের প্রথম তিন ম্যাচের খারাপ করাকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন বাংলাদেশের নতুন টেস্ট অধিনায়ক। তার কাছে বরং উন্নতির ধারা রাখতে পারাই মুখ্য,  ‘আমি জানি না আপনাদের আমাকে দেখে কখনও চাপে আছি মনে হয়েছে কিনা। তবে আমার নিজের কাছে মনে হয় না। আমি সবসময় যে জিনিসটা আশা করি যে, যেটা আমি চেষ্টা করি যে সবসময় আশাটা বড় রাখতে। আমি কোনো চাপে  ছিলাম না। দেখুন শুরুর দিকে একটু খারাপ হলে আমি বিষয়টিকে সেভাবে দেখি না। কারণ এটা হতেই পারে। আপনার যখন ভালো হবে তখন আসতে আসতে ভালো হতে থাকবে। আমার কাছে উন্নতি করাটাও গুরুত্বপূর্ণ।’

‘আগামী যে পাকিস্তান সিরিজ আছে সেখানে আমি কেমন এবং দল হিসেবে ক্রিকেটাররা কেমন করছে সেটার দিকে তাকিয়ে আছি। আজকের দিনটি তো চলে গেছে, সেটা তো আর আসবে না। এর আগে যে তিনটি ম্যাচ হেরেছি সেখান থেকে আমি কি শিক্ষা নিতে পেরেছি অধিনায়ক এবং ক্রিকেটার হিসেবে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। ’

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago