ভুয়া সনদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি: ৫ কনস্টেবলের কারাদণ্ড

Gavel

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভুয়া সনদ দিয়ে চাকরি নেওয়ার দায়ে চাকরিচ্যুত পাঁচ পুলিশ কনস্টেবলের আড়াই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের বিচারক মো. খোরশেদ আলম এই রায় দেন।

নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সরকারি সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) আব্দুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রায় ঘোষণার পর তাদের নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার কাঁচুয়াগাড়ি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আমীর আলী (২১), বাবলু মোল্লার ছেলে সাইদুল ইসলাম (২২), লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে জুবায়ের হোসেন পলাশ (২২), আব্দুস সামাদের ছেলে সাজেদুর রহমান (২২) ও গুরুদাসপুর উপজেলার হাঁসমারি গ্রামের মজিদ মন্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২১)।

সূত্র জানায়, ২০১২ সালে এরা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কনস্টেবল পদে নিয়োগ পান। তারা নিজেদের বাবাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে উল্লেখ করে ভুয়া সনদ দাখিল করেন। চাকরি শুরুর ছয় মাস পর বিভাগীয় যাচাই বাছাইয়ের সময় সনদ ভুয়া প্রতীয়মান হলে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে, ২০১২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নাটোর পুলিশ লাইনের উপপরিদর্শক মমিনুল হক বাদী হয়ে ওই পাঁচ কনস্টেবল ও তাদের বাবাদের আসামি করে মামলা করেন। নাটোর সদর থানার পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

পরে, তাদের বিচার শুরু হয় এবং অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় চাকরিচ্যুত কনস্টেবলদের ভুয়া সনদ দাখিলের দায়ে দেড় বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং মিথ্যা পরিচয় দেওয়ার দায়ে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল খালেক জানান, ন্যায় বিচার না পাওয়ায় তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

Comments

The Daily Star  | English

22 sectors still pay wages below poverty line

At least 22 sectors in Bangladesh continue to pay their workers much less than what is needed to meet basic human needs.

9h ago