৪৩ দেশে করোনাভাইরাস, মার্কিন সেনা আক্রান্ত
চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২ হাজার ৭১৫ জন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ হাজার ৬৪ জনে।
দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য মতে, হুবেই প্রদেশে গতকাল নতুন করে মারা গেছেন ৫২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৫০৮ জন। হুবেইয়ের বাইরে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র পাঁচ জন। ইতোমধ্যে ২৯ হাজার ৭৪৫ জন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন।
বিশ্ব পরিস্থিতি
চীনসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ২ হাজার ৭৬৩ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৯৭০ জনেরও বেশি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২৯ হাজার ৯৯৮ জন।
ইরানে মারা গেছেন ১৬ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় মারা গেছেন ১১ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৪৬ জন। ইতালিতে মারা গেছেন ১১ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৩ জন। জাপানে মারা গেছেন ১ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৯ জন। জাপানে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে মারা গেছেন ৪ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯১ জন। হংকংয়ে মারা গেছেন ২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ জন। তাইওয়ানে মারা গেছেন ১ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ জন। ফ্রান্সে মারা গেছেন ১ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন। ফিলিপাইনে মারা গেছেন ১ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩ জন।
এ ছাড়াও, সিঙ্গাপুরে ৯১ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ৫৩ জন, থাইল্যান্ডে ৪০ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ২৩ জন, মালয়েশিয়ায় ২২ জন, জার্মানি ১৮ জন, ভিয়েতনাম ১৬ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ২৩ জন, যুক্তরাজ্যে ১৩ জন, ম্যাকাওয়ে ১০, কানাডায় ১০ জন, কুয়েতে ৯ জন, বাহরাইনে ৮ জন, ইরাকে ৫ জন, স্পেনে ৫ জন, ভারতে ৩ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ২ জন, ওমানে ২ জন, রাশিয়ায় ২ জন এবং আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, বেলজিয়াম, কম্বোডিয়া, ক্রোয়েশিয়া, মিশর, ফিনল্যান্ড, ইসরাইল, লেবানন, নেপাল, রোমানিয়া, শ্রীলঙ্কা, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড ও ব্রাজিলে একজন করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সেনা আক্রান্ত
দক্ষিণ কোরিয়ার ক্যারল সেনাঘাঁটিতে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের মধ্যে একজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউনাইটেড স্টেইটস ফোর্সেস কোরিয়া (ইউএসএফকে) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই সেনার বয়স ২৩ এবং যিনি মার্কিন সেনাদের মধ্যে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তাকে ঘাঁটির ভেতরে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে।
Comments