মাদ্রাসাছাত্রীকে হত্যার অভিযোগে অধ্যক্ষসহ ৪ শিক্ষক কারাগারে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মাদ্রাসায় এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের আজ কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সলিমগঞ্জ জান্নাতুল ফেরদৌস মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম মোস্তফা, সহকারী শিক্ষক মাওলানা আনোয়ার হোসেন, মাওলানা আল-আমিন ও হাফেজ মো. ইউনুস মিয়া।
ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে অধ্যক্ষসহ প্রতিষ্ঠানটির ছয় শিক্ষকের নামে ছাত্রীর মা মামলা করেছেন বলে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিৎ রায় জানান।
এর আগে, সোমবার সন্ধ্যায় মাদ্রাসা থেকে ১২ বছরের ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসি রণজিৎ রায় বলেন, ধর্ষণের পর মেয়েটিকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে মেয়েটির মা মামলায় উল্লেখ করেছেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে তা পরিষ্কার হবে।
মেয়েটির মা অভিযোগে বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সেলিম তাকে মেয়ের মৃত্যুর খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে মাদ্রাসায় গিয়ে চতুর্থ তলায় তিনি মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
‘অধ্যক্ষ প্রায়ই আমার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিত। অধ্যক্ষ ও অন্য শিক্ষকরা মিলে আমার মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যা করেছে। তাদের সহায়তায় ম্যানেজিং কমিটির একজন মাদ্রাসার সিঁড়িতে মরদেহ ওড়না দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখে,’ ছাত্রীর মা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, এই ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসাবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।
Comments