করোনাভাইরাস এখন সারাবিশ্বে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মোট মৃত্যুর সংখ্যা দুই হাজার ৮০১ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ২৭ জন। তাদের বেশির ভাগই চীনে।
চীনের সরকারি হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় নতুন করে মারা গেছেন ২৯ এবং আক্রান্ত হয়েছে ৪৩৩ জন।
ধীরে ধীরে চীনে কোভিড-১৯ নামের করোনাভাইরাসটির প্রকোপ কমতে থাকলেও তা চীনের সীমানা পেরিয়ে ৪৬টি দেশে পৌঁছে গেছে। সেসব দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটিতে মহামারির রূপ নিতে শুরু করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৫৯৫ জন।
সাউথ চায়না মনিং পোস্ট ও সিএনএন আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ইরানে মারা গেছেন ১৯ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৯ জন। ইতালিতে মারা গেছেন ১২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৪০০ জন।
জাপানে মারা গেছেন ৩ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৬ জন। জাপানে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে মারা গেছেন চারজন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯১ জন।
হংকংয়ে মারা গেছেন দুই জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৯১ জন। তাইওয়ানে মারা গেছেন একজন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ জন। ফ্রান্সে মারা গেছেন দুই জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ জন। ফিলিপাইনে মারা গেছেন একজন এবং আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন।
এ ছাড়াও, সিঙ্গাপুরে ৯৩ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ জন, থাইল্যান্ডে ৪০ জন, মালয়েশিয়ায় ২২ জন, জার্মানি ১৮ জন, ভিয়েতনাম ১৬ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ১৩ জন, যুক্তরাজ্যে ১৩ জন, ম্যাকাওয়ে ১০ জন, কানাডায় ১০ জন, কুয়েতে ১৮ জন, বাহরাইনে ৩৩ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ২৩ জন, স্পেনে আটজন, ইরাকে পাঁচজন, ক্রোয়েশিয়া ও ভারতে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
ওমান, রাশিয়া, অস্ট্রিয়া, পাকিস্তান, ইসরাইল, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনে দুইজন করে, এবং মিশর, আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, বেলজিয়াম, কম্বোডিয়া, লেবানন, নেপাল, রোমানিয়া, শ্রীলঙ্কা, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, জর্জিয়া, গ্রিস, উত্তর মেসিডোনিয়া ও নরওয়েতে একজন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
চীনে যে করোনাভাইরাসের শুরু তা ধীরে ধীরে পার্শ্ববর্তী জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া হয়ে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ছে। ক্রমেই ভাইরাসটি সারাবিশ্বে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে।
Comments