আর্থিক ক্ষতির মুখে অ্যাপল, মাইক্রোসফট, ম্যারিয়ট
এন্টার্কটিকা ছাড়া নতুন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সব মহাদেশেই। চীনের আর্থিকখাতে আঘাত হানার পর এর প্রভাব পড়েছে বিশ্বের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরও।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ‘করোনাভাইরাসের প্রভাব মাইক্রোসফটের সরবরাহ খাতে পড়েছে’ উল্লেখ করে গতকাল বুধবার শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ‘এক মাস আগে ঘোষিত তাদের আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’
গত ২৯ জানুয়ারি মাইক্রোসফট ঘোষণা দিয়েছিল, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি ১০ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন থেকে ১১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার আয় করবে বলে আশা করছে। কিন্তু, এখন তারা জানিয়েছে, উইন্ডোজ ও সারফেস ল্যাপটপ বিক্রির ক্ষেত্রে ‘যা ধারণা করা হয়েছিল তার চেয়েও খারাপ অবস্থা তৈরি হয়েছে।’
মাইক্রোসফট বলছে, উইন্ডোজের চাহিদা ছিল ব্যাপক। তবে পরিস্থিতি এতোটা খারাপ হবে তা ধারণা করাও সম্ভব হয়নি। চীনা নববর্ষের ছুটির সময় দেশটিতে উৎপাদন বন্ধ ছিল। করোনাভাইরাসের কারণে সেই ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আর ছুটি শেষ হওয়ার আগেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে দেশটির প্রায় সব অঞ্চলেই।
মাইক্রোসফট তাদের কর্মী ও ক্রেতাদের স্বাস্থ্য-নিরাপত্তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানিয়েছে।
এর আগে, চলতি মাসের মাঝামাঝি প্রযুক্তি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান অ্যাপল জানিয়েছিল, তারা এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে যা আয় করার প্রত্যাশা করেছিল তা অর্জন করতে পারছে না। চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণেই এমনটি হয়েছে বলছে প্রতিষ্ঠানটি।
টেকক্রাঞ্চর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপল এক চিঠিতে জানিয়েছে, ‘করোনাভাইরাসের কারণে চীনে আমাদের পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়া এর অন্যতম কারণ।’ এছাড়াও, করোনার কারণে ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী আইফোনের সরবরাহ কমে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে সেই প্রতিবেদনে।
করোনার প্রভাব যে শুধু প্রযুক্তি পণ্যেও ওপর পড়েছে তা নয়। বিশ্বব্যাপী পর্যটন খাতও ক্ষতিগ্রস্ত।
আজ বৃহস্পতিবার আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ হোটেল ও পর্যটন বাণিজ্য সংস্থা ম্যারিয়ট জানিয়েছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের হোটেলগুলো প্রায় ফাঁকা থেকে যাচ্ছে। করোনাভাইরাসের কারণে চীন, হংকং, ম্যাকাও ও তাইওয়ান থেকে পর্যটক না আসায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
Comments