ক্লিনিকের অভ্যর্থনাকারীকে ধর্ষণের অভিযোগে চিকিৎসক গ্রেপ্তার

সাতক্ষীরা শহরের একটি ক্লিনিকের অভ্যর্থনাকারী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সাতক্ষীরা শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
arrest logo
প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

সাতক্ষীরা শহরের একটি ক্লিনিকের অভ্যর্থনাকারী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সাতক্ষীরা শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযুক্ত চিকিৎসকের বাড়ি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার রতনপুর গ্রামে।

নির্যাতনের শিকার তরুণী বর্তমানে সাতক্ষীরা হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি ওই ক্লিনিকে অভ্যর্থনাকারী হিসেবে চাকরি শুরু করেন। সেখানে রোগী দেখতেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। সেই সুবাদে তাদের সখ্যতা গড়ে ওঠে।

তিনি বলেন, ‘আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণ করেন ওই চিকিৎসক। এরপর বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান ও হুমকি দিতে শুরু করেন। থানায় অভিযোগ করতে চাইলে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আমাকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে আবারও ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন তিনি। ক্লিনিকের পাঁচতলায় আমাকে দুদিন আটকে রাখা হয়েছিল। আমার স্বজনরা থানায় জানালে গতকাল দুপুরে পুলিশ আমাকে ক্লিনিকের একটি কক্ষ থেকে উদ্ধার করে।’

‘আমার সঙ্গে তার সম্পর্কের প্রমাণ নষ্ট করতে তিনি আমার মোবাইল ফোনের মেমোরি কার্ড খুলে নেন এবং মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন’— বলেন নির্যাতনের শিকার তরুণী।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার চিকিৎসক। সাতক্ষীরা থানার সামনে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে আমি সরাসরি ও মোবাইল ফোনে কথা বলতাম। তার বেশি কিছু নয়।’

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার তরুণী বাদী হয়ে চিকিৎসক, ক্লিনিক মালিক ও এক কর্মচারীকে আসামি করে মামলা করেছেন।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago