গিবসনকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে জিতলেন মুশফিক

প্রথম নেটে স্পিনারদের বিপক্ষে রান বের করার অনুশীলন সেরে মুশফিকুর রহিম এলেন তৃতীয় নেটে। সেখানে বল করছিলেন আবু জায়েদ রাহি, আল-আমিন হোসেনরা। পেসারদের নেটে আম্পায়ারের ভূমিকায় পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। সাবলীল, মাঝ ব্যাটে খেলতে থাকা মুশফিক তখন আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। এসেই গিবসনকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বললেন, ‘পারলে তোমার বোলারদেরকে বলো আমাকে আউট করতে।’
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের আগের দিন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের ঝালাই করেছেন ম্যাচের পরিস্থিতি তৈরি করে। আগের দিনের মতো এদিনও নেটে তোয়ালে লাগিয়ে হয়েছে রান বের করার অনুশীলন।
স্পিনারদের নেটে নেমেই নাঈম হাসানের কাছে মুশফিক জেনে নিলেন বল নতুন নাকি কিছুটা পুরনো। নতুন বল জেনে বুঝে নিলেন খেলতে হবে পাওয়ার প্লের মধ্যে, জেনে নিলেন ফিল্ডিং পজিশন। সে অনুযায়ী ফাঁক বের করতে পারলেই নিজে থেকে বলেছেন, ‘ওয়ান রান, এটা দুই, এবার “নো রান”।’
বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম, অফ স্পিনার নাঈম আর একজন নেট বোলারকে অনায়াসে খেলে পেসারদের নেটে এসেই মুশফিকের ওই খুনসুটি। গিবসনও চ্যালেঞ্জটা যেন জানিয়ে দিলেন তার শিষ্যদের।
রাহি, আল-আমিনদের বলে দু-একবার পরাস্ত হয়েছেন বটে, তবে বেশিরভাগ বল সহজেই খেলেছেন তিনি। আম্পায়ারের ভূমিকায় থাকা গিবসনের তাই মুশফিককে আর আঙুল তুলে আউট বলা হয়নি।
এদিন প্রধান কোচ ডমিঙ্গো আর ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি অবশ্য বেশিরভাগ সময় দিয়েছেন তরুণদের। অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাঈম শেখের দাঁড়ানো, মাথার অবস্থান নিয়ে লম্বা বক্তব্য দিতে দেখা গেছে ম্যাকেঞ্জিকে।
তাতে একমত হয়ে নাঈমকে ডমিঙ্গো বলছিলেন, ‘চার মারা তো সহজ, এক রান বের কর, দুই রান নাও।’
নাঈম মাঝে মাঝে পারলেন, অনেকবারই ঠিকঠাক হলো না। তাতে কোচরা খুব একটা অসন্তুষ্ট হননি।
তবে মোহাম্মদ মিঠুন অবশ্য খেলেন বকাঝকা। থ্রো ডাউনে থেকে ব্যাটিং অনুশীলন করানো হচ্ছিল ম্যাকেঞ্জির। গুড লেন্থে পড়ে লাফিয়ে ওঠা বলে মিঠুন কাট করতে গেলেন বার তিনেক, প্রতিবারই পরাস্ত। ম্যাকেঞ্জি তখন রেগেমেগে প্রায় আগুন। কাছে এসেই বললেন, তার বার্তা কী মিঠুন বুঝতে পারছেন না? কোন বলে ড্রাইভ খেলতে হবে, কোন বলে কাট আর কোন বল সমঝে খেলতে হবে, এইটুকু তো বোঝানোর কিছু নেই। মিঠুনের যে স্কিল আছে, তা বের করতে অনেকক্ষণ সময় নিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ।
নেট অনুশীলনের শুরুতে ছিলেন না তামিম ইকবাল। শেষ দিকে এসেই নাঈম আর তাইজুলকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলের হিসাবে রান বের করার মেজাজ নিয়ে খেলেছেন। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিমায় চলেছে খুনসুটিও। নিয়মিত আরেক ওপেনার লিটন দাস নেটে ব্যাট করতে নেমেছিলেন শুরুর দিকেই। থ্রো ডাউনে মাত্র চার বল খেলেই চলে যান, পরে খানিকক্ষণ নকিং করে সেরেছেন অনুশীলন। দেখে সংশয় জাগছিল, কোন চোট পেলেন না তো? পরে টিম ম্যানেজারের কাছ থেকে জানা গেল, নাহ, খেলার মতো ফিট আছেন তামিমের সম্ভাব্য ওপেনিং সঙ্গী।
Comments