সংস্করণ পাল্টে যাওয়াতেই জেতার সুযোগ দেখছে জিম্বাবুয়ে
সিরিজের একমাত্র টেস্টে বেশ নাজেহাল হয়েছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের কাছে তারা হেরেছে ইনিংস ও ১০৬ রানে। সাদা পোশাকে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারলেও দলটির অধিনায়ক চামু চিবাবা রঙিন পোশাকে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। যুক্তি হিসেবে তিনি বলেছেন, টেস্টের চেয়ে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি খেলতে তারা বেশি স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করেন।
আগামীকাল রবিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। তার আগের দিন (২৯ ফেব্রুয়ারি) আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে চিবাবা জানান, ‘আমি মনে করি, জেতার সামর্থ্য আছে আমাদের। প্রস্তুতি দারুণ হয়েছে।... সীমিত ওভারের সংস্করণগুলোতে আমরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি কারণ আমরা আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে চাই। আর ওয়ানডে ক্রিকেট আমাদের সেই সুযোগ করে দেয়।’
জিম্বাবুয়ে দলনেতা প্রেরণা নিচ্ছেন ২০১৮ সালের নভেম্বরের টেস্ট জয় থেকে। সিলেটের মাঠে ১৫১ রানে বাংলাদেশকে হারিয়েছিলেন তারা। তবে ওয়ানডেতে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের বিপক্ষে তাদের গেল কয়েক বছরের পারফরম্যান্স মোটেও সুবিধার নয়। দুদলের সবশেষ ১৩ ম্যাচেই জিতেছে হেরেছে জিম্বাবুয়ে। আর সবকটি ম্যাচই হয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে।
সিলেটের কন্ডিশনের সঙ্গে আগে থেকে পরিচয় থাকায় ব্যর্থতার এই বৃত্ত ভাঙার আশাও ব্যক্ত করেছেন চিবাবা, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে আমাদের রেকর্ড তেমন ভালো না। কিন্তু আমাদের এটা পাল্টাতে হবে। সবকিছু পাল্টানোর এটাই সুবর্ণ সুযোগ।’
বরাবরই বাংলাদেশের স্পিনে নাকাল হয় জিম্বাবুয়ে। সবুজ ঘাস কেটে সিলেটের উইকেট ন্যাড়া বানানোয় এবারও তাইজুল ইসলাম-মেহেদী হাসান মিরাজদের ঘূর্ণি বল বিপাকে ফেলতে পারে চিবাবাদের। তবে জিম্বাবুইয়ান কাপ্তান বলেছেন, এবারে তারা পাল্টা আক্রমণ করতে প্রস্তুত।
‘বাংলাদেশ দল থেকে কী প্রত্যাশা করতে পারি সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি। এটা স্পষ্ট, যখনই আমরা এখানে এসেছি, প্রচুর স্পিনের মুখোমুখি হয়েছি। বাংলাদেশের স্পিন মোকাবেলা করতে আমরা অনেক কাজ করেছি। আমরা নিজেদের দক্ষতার উন্নতিও করছি।’
Comments