মাশরাফিকে আপনারাও একটু বেশি খোঁচাচ্ছিলেন: বিসিবি প্রধান
ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগের দিন মাশরাফি বিন মর্তুজার সংবাদ সম্মেলন হয়ে উঠেছিল উত্তপ্ত। ‘আত্মসম্মান’ শব্দ ব্যবহৃত এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তুমুল আলোচিত সেই সংবাদ সম্মেলন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানও। সিলেটে সেই একই সম্মেলন কক্ষে ম্যাচের দিন এসে বোর্ড প্রধান বললেন, মাশরাফিকে সংবাদ সম্মেলনে একটু বেশিই কষ্ট দেওয়া হয়েছে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজ দিয়েই মাশরাফির অধিনায়কত্বের শেষ কিনা, তা নিয়ে সংশয়ের দোলাচল অবশ্য তৈরি করেন বোর্ড প্রধানই। মাসখানেকের মধ্যে ওয়ানডেতে একজন অধিনায়ক ঘোষণার কথা কদিন আগেই বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আমি কি চুরি করি মাঠে, লজ্জা বা আত্মসম্মানবোধের প্রশ্ন কেন: মাশরাফি
ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে তাই সিরিজের আলাপ সরে যায় দূরে। মাশরাফির অবসর বিতর্ক ও তার ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়েই হয় বেশিরভাগ প্রশ্ন। তার উত্তরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানো মাশরাফির পাশে দাঁড়িয়েছেন বোর্ডের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। রবিবার (১ মার্চ) সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অবকাঠামো ঘুরে দেখার পর আগের দিনের ঘটনার জন্য সংবাদ মাধ্যমকেও কিছুটা দায় দেন তিনি, ‘ওর প্রেস কনফারেন্স দেখে মনে হয়েছে, আপনারা একটু ওকে বেশি খোঁচাচ্ছিলেন। এরকম একটা সময় যখন আপনাদের ওর পাশে থাকা উচিত, সেই জায়গায় মনে হচ্ছে, আপনারা ওকে কষ্ট বেশি দিয়ে দিচ্ছেন। এসব নিয়ে আমাদের আলাপ করা উচিতই না আমাদের। ও বলে দিয়েছে ও কী চায়।’
আরও পড়ুন: উত্তাপ ছড়ানো মাশরাফির ওই সংবাদ সম্মেলনে কী ছিল সব প্রশ্ন-উত্তর
বোর্ড প্রধান পরিস্কার করে দেন, নিজের অবসর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মাশরাফি নিজেই, আর অধিনায়কত্বের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড, ‘অধিনায়ক কে হবে বোর্ড চূড়ান্ত করবে। যখন যাকে মনে হয়, তাকে নির্বাচন করবে। ও কখন অবসর নিবে সেটা ও ঠিক করবে। তাকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন। আমার মনে হয়, এখানেই শেষ করা উচিত।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটে মাশরাফির অবদান ও অধিনায়কত্ব নিয়ে বিসিবি সভাপতি অনেকবার বলা কথাই আবার মনে করিয়ে দেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে সাকিবের (আল হাসান) কোনো বিকল্প নেই। অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির কোনো বিকল্প নেই। মাশরাফির অবদান কোনোভাবেই খাটো করার কোনো সুযোগ নেই। আপনারা খেয়াল করেছেন, মাশরাফিকে যে পরিমাণে আমরা চেষ্টা করছি সুযোগ দেওয়ার জন্য, সেটা কিন্তু অনেকের বেলায় করিনি। মুশফিককে (রহিম) বাদ দিয়ে যখন মাশরাফিকে অধিনায়ক করি, তখন কিন্তু কাউকে জিজ্ঞেস করিনি। মাশরাফির ব্যাপারটা ভিন্ন।’
Comments