গুজব-গণপিটুনি রোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা
গুজব ছড়ানো ও গণপিটুনি রোধে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। নির্দেশনায় হাইকোর্ট বলেন, গুজব ও গণপিটুনি রোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জনসচেতনতা তৈরি এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
এছাড়াও ঢাকার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেণু নিহতের ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের কোনো গাফিলতি আছে কিনা তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ রোববার বিচারপতি এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের শুনানি করে নির্দেশনা দেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেছিলেন।
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়াতে ও গণপিটুনিতে উস্কানি দিতে পারে এমন যে কোনও ধরনের ভিডিও, অডিও এবং মেসেজ বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আদালত নির্দেশনা দেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা গণপিটুনি সংশ্লিষ্ট মামলার এফআরআই অবশ্যই লিপিবদ্ধ করবেন এবং যত দ্রুত সম্ভব পুলিশ সুপারকে জানাবেন।
গত বছর ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডায় একটি স্কুলে ভর্তির বিষয়ে জানতে গিয়ে ছেলেধরা গুজবে দুই সন্তানের মা তাসলিমা বেগম রেণু গণপিটুনিতে নিহত হন।
রানুর ভাইয়ের ছেলে চারশ থেকে পাঁচশ জনকে আসামি করে বাড্ডা থানায় একটি মামলা করেন।
একই দিন আরো চার জনকে ছেলেধরা গুজবে পিটিয়ে মেরে ফেলে উত্তেজিত জনতা।
Comments