নারায়ণগঞ্জ পুলিশের যত অস্ত্র ছিল, তার চেয়ে বেশি আমার কাছে ছিল: শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘২০০১ সালের আগে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের টোটাল ফোর্সের কাছে যা অস্ত্র ছিল, তার চেয়ে বেশি আমার কাছে ছিল। মিথ্যা কথা বলে লাভ নাই। কিন্তু আজকে আমার গাড়িতে অস্ত্র আছে কি না আমি জানি না।’
আজ রোববার দুপুরে শহরের মাসদাইর পুলিশ লাইনসে আয়োজিত ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২০’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি এসপি সাহেবকে দেখাচ্ছিলাম, কালকে তালিকা করেছি ৭৫ এর পর থেকে আমাদের কতজন মারা গেল। আমি দেখলাম, প্রায় ৫০ জনের উপরে। একটা হত্যার বিচারও পাইনি। ২০০১ এ বোম্ব ব্লাস্ট হলো, মারা গেলাম। কিন্তু বিচার পাই নাই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অন্য কোনো দলকে দমন করার জন্য পুলিশের দরকার নাই। আমি এসপি সাহেবকে প্রথম দিনই বলেছি “আই ডোন্ট নিড দ্য পুলিশ সাপোর্টস”। রাতের বেলা ডাকলে এখনো দুই লাখ লোক বের করতে এক ঘণ্টা সময় লাগে। ওই ক্যাপাসিটি আমার আছে। ৭৯ সালে জিয়াউর রহমানকে আটকে রাখার লোক আমরা। কীভাবে আন্দোলন করতে হয়, আর কীভাবে আন্দোলন ঠেকাতে হয় আমরা সেটা জানি। সরকারি দল হিসেবে নিজেকে ভেবে ফেললে আর রাজনীতি করা যায় না। আমি সব সময় মনে করি, আমি বিরোধী দল। আমি সাধারণ মানুষের দল।’
পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমার কাছের লোক হলেও আপনারা কাউকে খাতির করবেন না। কোনো মাস্তান, বন্দুকবাজ ও লাঠিয়াল বাহিনীর আমার দরকার নাই। কারণ আমি নিজেই জানি, আমার থেকে বড় মাস্তান আর কেউ নাই। আমার বুকের ভেতরে অনেক সাহস আছে। ২০০১ সালের আগের আমার রাজনৈতিক দর্শন আগে ছিল এক রকম। জিন্দাবাদ শুনতে ভালো লাগতো। ২০০১ সালের পরে আমার এই চিন্তা পরিবর্তন হয়েছে।’
‘আমি একটা কথা বলতে চাই, ইদানীং একটু ওয়াজে যাই। অনেকেই টিটকারি মারে কিন্তু আমি দুই বেলা কোরআন শরীফটা পড়ি। আমি ২২ বছর ধরে তাহাজ্জুদটা ছাড়ি নাই,’ বলেন শামীম ওসমান।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজলসহ অনেকে।
Comments