শেষ ম্যাচেও হতাশায় ডুব বাংলাদেশের মেয়েদের
পরের রাউন্ডে যাওয়ার বাস্তব অবস্থা নিয়ে বিশ্বকাপে যায়নি বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে অন্তত এক ম্যাচ জিতলে নিশ্চিত হতো পরের বিশ্বকাপ খেলা। টানা হারের ধারায় থাকা সালমা খাতুনের দল সেই সান্ত্বনাও পায়নি। আরও একবার ব্যাটিং ব্যর্থতায় শ্রীলঙ্কার কাছে স্রেফ উড়ে গেছে তারা।
সোমবার মেলবোর্নে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ করতে পারে মাত্র ৯১ রান। ২৭ বল আগে ওই রান টপকে ৯ উইকেটে জিতেছে লঙ্কান মেয়েরা। এই নিয়ে টানা তিন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একটিও ম্যাচ জিততে পারল না বাংলাদেশের নারী দল।
কোন ম্যাচ না জেতায় মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরের আসর খেলতে হলে আগের তিনবারের মতই বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসতে হবে সালমাদের।
এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করতে গিয়ে শুরুটাই হয় চূড়ান্ত বিপর্যয়ে। তড়িঘড়ি ফিরে যান ওপেনার মুর্শিদা খাতুন ও আয়েশা রহমান। তিনে গিয়ে সানজিদা ইসলাম দুই অঙ্কে গিয়ে আর এগুতে পারেননি। একমাত্র কিপার ব্যাটসম্যান নিগার সুলতানাকেই দেখে গেছে সাবলীল। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দলের আশা হয়ে টিকে ছিলেন তিনি। একদম শেষ বলে রান আউটে কাটা পড়ার আগে করেছেন সর্বোচ্চ ৩৯ রান। তার এই ইনিংস না হলে আরও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতো বাংলাদেশকে।
অল্প রানের পূঁজি নিয়ে বোলাররাও বিশেষ কিছু করতে পারেননি। আগের ম্যাচগুলোতে ভাল না করায় সিনিয়র ক্রিকেটার জাহানারা আলমকে এই ম্যাচে দেখা যায়নি একাদশে। বাকিরাও ছিলেন বিবর্ণ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ৯১/৮ (মুর্শিদা ৩, আয়েশা ৬, সানজিদা ১৩, নিগার ৩৯, ফারজানা ১৩, রুমানা ০, রিতু ৮, ফাহিমা ১, সালমা ২*; প্রবোধানি ৪-০-১৩-০, সিরিবর্দনে ৪-০-১৬-৪, কুলাসুরিয়া ৩-০-১৯-২, কুমারি ২-০-১২-০, দিলহারি ৪-০-১৩-১, আতাপাত্তু ৩-০-১৬-০)।
শ্রীলঙ্কা: ১৫.৩ ওভারে ৯২/১ (আতাপাত্তু ৩০, পেরেরা ৩৯*, সানজিওয়ানি ১৬*; সালমা ৩-১-১৫-০, পান্না ২-০-১৮-০, নাহিদা ৩.৩-০-১৮-১, রিতু ৪-০-১৮-০, রুমানা ২-০-১২-০, ফাহিমা ১-০-৭-০)।
ফল: শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে জয়ী।
প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ: শশিকলা সিরিবর্দনে
Comments