২০ স্কুলে হাইজিন কর্নার

পিরিয়ডের কারণে ৮৪ শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুলে অনুপস্থিত

পিরিয়ডের কারণে প্রতি মাসে বরগুনার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮৪ শতাংশ ও মাদরাসার ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে অনুপস্থিত থাকে। সচেতনতার অভাব ও আর্থিক অনটনে প্যাডের পরিবর্তে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮১ শতাংশ ও দাখিল মাদরাসার ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পুরোনো কাপড় ব্যবহার করে।
Hygiene_Corner
প্রাথমিক পর্যায়ে ২০টি বিদ্যালয় ও মাদরাসায় হাইজিন কর্নার চালু করেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। ছবি: স্টার

পিরিয়ডের কারণে প্রতি মাসে বরগুনার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮৪ শতাংশ ও মাদরাসার ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে অনুপস্থিত থাকে। সচেতনতার অভাব ও আর্থিক অনটনে প্যাডের পরিবর্তে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮১ শতাংশ ও দাখিল মাদরাসার ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পুরোনো কাপড় ব্যবহার করে।

সম্প্রতি বরগুনা জেলা প্রশাসন ‘সার্ভে অন পারসোনাল মিনস্ট্রুয়াল হাইজিন ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক জরিপ চালায়। তাতে এই পরিসংখ্যান উঠে আসে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত পরিচালিত জরিপে স্কুল ও মাদরাসার ৩৮০ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে ও মেয়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস গড়ে তুলতে না পারলে আগামী প্রজন্ম সুস্থ ও সমৃদ্ধ হতে পারবে না। মুজিববর্ষকে সামনে রেখে আমরা একটি জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। স্কুলগুলোতে নন্দিনী হাইজিন কর্মসূচি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রতিটি স্কুলে নন্দিনী কর্নার করা হবে। সেখানে একটি বাকসে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্যানিটারি ন্যাপকিন, ফার্স্ট এইড, আয়রন ট্যাবলেট রাখা থাকবে। এ ছাড়া, একটি ঢাকনাওয়ালা ঝুড়িও দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব প্রতিষ্ঠানে এটি চালু করা হবে, বলেন মোস্তাইন বিল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, মোট ১ হাজার ২২০ জনকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একজন ছাত্রী (নন্দিনী গার্ল), একজন ছাত্র (নোবেল বয়), একজন নারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষ হলে তারা বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। এতে সহায়তা দিচ্ছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ।

এই কর্মসূচির সমন্বয়ক বরগুনা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, আগে শিক্ষার্থীরা এমনকী শিক্ষকরাও শ্রেণিকক্ষে পিরিয়ড নিয়ে কথা বলতে সংকোচ বোধ করতেন। জেলা প্রশাসনের এসব উদ্যোগে এখন খোলামেলা কথা বলার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now