বোর্ড সভাপতির ‘সুন্দর কথায়’ প্রেরণা পেয়েছিলেন তামিম
রান পাচ্ছিলেন না, স্ট্রাইকরেট পৌঁছে গিয়েছিল তলানিতে। তামিম ইকবালের চারপাশে জড়ো হচ্ছিল সমালোচনার তীব্র স্রোত। আর একটু হলেই সেই স্রোতে তার জায়গাই নড়ে যাওয়ার উপক্রম। এমন খারাপ সময়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে তার পাশে ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। ম্যাচের আগের দিন তামিমকে ফোন করে অনুপ্রাণিত করেন তিনি।
মঙ্গলবার সিরিজ জিতে যাওয়ার পর বুধবার কোন কার্যক্রম রাখেনি বাংলাদেশ দল। পুরোপুরি বিশ্রামে আছে গোটা দল। আগের দিন ১৫৮ রানের রেকর্ডময় ইনিংস খেলা তামিম পীড়াপীড়িতে কথা বলতে রাজী হলেন।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে নিজের আগের রেকর্ড ভেঙে নতুন চূড়ায় উঠার পর রোজভিউ হোটেলের লবিতে বুধবার বিকেলেই প্রথম গণমাধ্যমের সামনে আসেন তিনি।
কোন ক্রিকেটার কখন চাপে থাকেন, তা বোঝা দুষ্কর নয়। তবে অনেকসময়ই তারা কৌশলে এড়িয়ে যান চাপে থাকার প্রসঙ্গ। তামিম এক্ষেত্র ব্যতিক্রম। চাপে যে ছিলেন শুরুতেই তা স্বীকার করে নিলেন অকপটে, ‘অবশ্যই। চাপে তো ছিলামই। এটা না বললে মিথ্যে কথা বলা হবে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় একটা ভালো জিনিস ছিল যে ,আমি ব্যাটিং খুব ভালো করছিলাম। হয়তো অতো বড় রান করতে পারছিলাম না। টেস্টে যেমন ৪১ রান করলাম। পাকিস্তানে ৩৫/৩৬ রানের একটা ইনিংসও খেললাম। আমার কাছে মনে হয় আমার ব্যাটিং ভাল হচ্ছিল। এমনকি অনুশীলনেও আমি খুব ভালো ব্যাটিং করছিলাম। তো একটা বিশ্বাস অবশ্যই ছিল যে ইটস এ ম্যাটার অব টাইম। বড় ইনিংস হয়ে যাবে, হয়ে যাবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনেকদিন ধরেই হচ্ছিল না।’
ম্যাচ শেষেও বলেছিলেন তার ইনিংসের কৃতিত্ব আসলে অনেকের। আরও একবার তার উপর আস্থা রাখায় বাকিদের কথা মনে করিয়ে দিলেন, ‘এটার পেছনে কৃতিত্ব দেওয়া উচিত টিম ম্যানেজমেন্টকে। বা আমার সতীর্থদের কথা যদি বলি, তারাও বিশ্বাস রেখেছে। কোনো সময় একটা মিনিটের জন্যেও তারা বিশ্বাস হারায়নি। হয়তোবা আমিও যখন একটু হতাশ হয়ে যাচ্ছিলাম তখন তারাও নিশ্চিত করেছেন আমার যেন এটা না হয়।’
সবচেয়ে যার ভরসার হাত থাকলে থাকা যায় নির্ভার, তামিম সেখান থেকেও পেয়েছেন ইতিবাচক বার্তা। দ্বিতীয় ওয়ানডের আগের দিন বিসিবি সভাপতিও তামিমকে ফোন করে দিয়েছেন উৎসাহ, বোর্ড প্রধানের ইতিবাচক কথার রেশ মনে দোলা দিয়ে গেছে তামিমকে, ‘এমনকি বোর্ড থেকেও (পাশা থাকার কথা এসেছে। এটা না বললেই নয়, শেষ খেলার আগের দিন আমাকে প্রেসিডেন্টও ফোন করেছেন। উনি অনেক সুন্দর কিছু কথা আমাকে বলেছেন যেগুলো আসলে ভালো লাগার মতো।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫৮ রানের ইনিংসের আগের ১২ ম্যাচে তামিমের অবস্থা ছিল শোচনীয়। এই সময়ে গড় ছিল ২৩ , স্ট্রাইকরেট মাত্র ৬৭.৭৯। আগের ২৩ ইনিংসেই তার ব্যাট দেখেনি কোন সেঞ্চুরি। এমনকি এর আগে শেষ ২০ ম্যাচে কোন ছক্কাও মারতে পারেননি তিনি। এদিন সবই এসেছে তার ব্যাটে। ১৩৬ বলের ইনিংসে ২০ চার ৩ ছক্কায় তামিম করেন ১৫৮ রান।
Comments