খাগড়াছড়িতে বিজিবির একটি ক্যাম্প অস্থায়ীভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিজিবির এক সদস্য ও চার গ্রামবাসীর মৃত্যুর পর নিরাপত্তা বিবেচনায় বিজিবির একটি ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাহিনীটির একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা।
বিজিবি গুইমারা অঞ্চলের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জি এইচ এম সেলিম হাসান জানান, ‘মূলত নিরাপত্তার কারণেই গাজীনগর বিজিবি ক্যাম্পটি অস্থায়ীভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
মাটিরাঙ্গায় মঙ্গলবার সংঘর্ষে বিজিবি সদস্যসহ পাঁচ জন নিহত হন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, ঘটনার পর এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আজ সকালে মাটিরাঙ্গার বটতলি মাঠে নিহতদের জানাজা হয়। জানাজার আগে সেখানে একটি সমাবেশ হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাস, উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল আলম, মেয়র মো. শামসুল হক ও স্থানীয় থানার ওসি শামসুদ্দিন ভূঁইয়া সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে জনপ্রতিনিধিরা তদন্তের নামে গ্রামবাসীদের হয়রানি না করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, গ্রামবাসীরা বিজিবিকে আক্রমণ করেনি বরং একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাদের ওপরই গুলি চালানো হয়েছে।
বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা ‘কাঠ পাচার’ প্রসঙ্গে তারা বলেন, পাচারের কোনো ইস্যু সেখানে ছিলনা। বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কাঠ পাচারের যে কথা হয়েছে তা সঠিক নয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি এই ঘটনা তদন্তের জন্য তাদের কাজ শুরু করেছে।
যোগাযোগ করা হলে তদন্ত কমিটির প্রধান খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং গ্রামবাসীসহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিজিবির দিক থেকে কোনও গাফিলতি ছিল কিনা তা গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত করা হচ্ছে।’
মাটিরাঙ্গা থানার ওসি শামসুদ্দিন ভূঁইয়া জানান, এখন পর্যন্ত বিজিবি কিংবা অন্য কেউ এই ঘটনায় মামলা করেনি।
আরও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে কাঠ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষে বিজিবি সদস্যসহ নিহত ৫
Comments