এমবাপেকে রাখতে নেইমারকে বিক্রি করতেও রাজি পিএসজি!

neymar and mbappe
ছবি: এএফপি

গ্রীষ্মকালীন দলবদল শুরু হতে বাকি আরও কয়েকমাস। তা সত্ত্বেও সরগরম হয়ে উঠেছে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের দলবদলের বাজার। স্প্যানিশ গণমাধ্যমে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) দুই তারকা খেলোয়াড় নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে নতুন নতুন খবর।

স্পোর্তের দাবি, আগামী মৌসুমে নেইমারকে ফেরানোই স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার ‘এক নম্বর লক্ষ্য’। এএস আবার আরেক কাঠি সরেস। তারা এক প্রতিবেদনে বলেছে, ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী স্ট্রাইকার এমবাপেকে ধরে রাখতে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারকে বিক্রি করতে পিছপা হবে না পিএসজি।

নেইমার ২০১৭ সালে রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বার্সা ছেড়ে নাম লেখান ফরাসি লিগ ওয়ানের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পিএসজিতে। কিন্তু তার বার্সায় ফেরা নিয়ে বেশ কয়েকবার গুঞ্জন উঠেছে। চলতি মৌসুম শুরুর আগে তার দলবদল নিয়ে আলোচনায়ও বসেছিল পিএসজি ও বার্সেলোনা। তবে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। তাই নেইমার থেকে গেছেন প্যারিসেই। কিন্তু বুধবার (৪ মার্চ) প্রকাশিত স্পোর্তের প্রতিবেদন তার ন্যু ক্যাম্পে ফেরার জল্পনা-কল্পনায় যোগ করেছে নতুন মাত্রা।

২১ বছর বয়সী এমবাপের ব্যাপারে স্পেনের আরেক পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদের আগ্রহের খবর পুরনো। ফরাসি তরুণও একাধিকবার রিয়ালের বর্তমান কোচ জিনেদিন জিদানের প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথা সরাসরি বলেছেন গণমাধ্যমে, জানিয়েছেন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে চাওয়ার কথা।

কিন্তু এমবাপেকে রিয়াল কেন, অন্য কোনো দলেই যেতে দেওয়ার ইচ্ছা নেই পিএসজির। এএস জানিয়েছে, স্কোয়াডের যে কাউকে ছাড়তে রাজি তারা, এমনকি নেইমারকেও। কিন্তু এমবাপেকে ধরে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে তারা।

স্প্যানিশ দৈনিকটি আরও দাবি করেছে, পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফি এমবাপের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। আগামী ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি রয়েছে সময়ের অন্যতম সেরা এই তরুণ ফুটবলারের। চুক্তির বিষয়ে নতুন একটি প্রস্তাব কদিন আগেই না-কি দেওয়া হয়েছে তাকে। কিন্তু এমবাপে তাতে এখনও স্বাক্ষর করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

ICT case: Hasina charged with crimes against humanity

ICT prosecution pressed formal charges against ousted prime minister Sheikh Hasina in a case filed over crimes against humanity committed during the July mass uprising

26m ago